বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
বান্দরবান ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফের আরও ৫ জন রিমান্ডে নাজুক পরিস্থিতিতে ভুগছে থানচির পর্যটন কেন্দ্র গুলো বান্দরবান থানচি ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফ সদস্য ও সহযোগী রিমান্ডে  নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবির মহাপরিচালক দুর্গম ধুপানিছড়া যৌথ বাহিনী অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৯জন আটক বান্দরবান কেএনএফের আরও ৪ সদস্য কারাগারে নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালন বান্দরবান যৌথবাহিনীর অভিযানে এক নারীসহ কেএনএফ এর আরো ৩জন গ্রেফতার আরো ১জন কেএনএফ সহযোগীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বান্দরবান গ্রেপ্তারকৃত কেএনএফের ৫২ জন কে কারাগারে পাঠালো আদালত

পেকুয়ায় পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

নাজিম উদ্দিন,পেকুয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১
  • ২৩০ জন নিউজটি পড়েছেন

গত চারদিনে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সাত ইউনিয়নের প্রায় ৫৫টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে যাওয়া প্রতিটি গ্রামের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। প্লাবনে মানুষ গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শ অব্যাহত রেখেছেন। গত দুইদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দী মানুষের মধ্যে শুকনা খাবার বিলি শুরু হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে ত্রান দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

পেকুয়ার ইউএনও মো.মোতাছেম বিল্যাহ জানায়,পরিস্থিতি খুবই নাজুক। অতিবৃষ্টি ভারী ও বেড়িবাঁধ ভেঙে পাহাড়ি ঢল ঢুকে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এতে করে সাত ইউনিয়নের ৫২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দিনদিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্লাবিত এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুইদিনে প্লাবিত এলাকায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারে চাল ও শুকনা খাবার বিলি করেছি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন চাহিদার তুলনায় ত্রান অপ্রতুল। অনেকে এখনো ত্রান পায়নি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্র জানায়, ত্রান সামগ্রী বিলি অব্যাহত আছে সবার হাতে ত্রান যাবে।

সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,মগনামা-পেকুয়া-বানিয়ারছড়া সড়কের পহরচাঁদা মাদ্রাসা থেকে হাজিরঘোনা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় কোমর সমান পানি। সাঁকোরপাড় ষ্টেশন থেকে হাজিরঘোনা ব্রীজ পর্যন্ত দুইটি পয়েন্টে প্রায় ৫০ফুট প ১শ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। খালের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। সড়কটি পানির সাথে একাকার। গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মানুষ নৌকা ও ভ্যানে চড়ে যাতায়ত করছে।

উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,দুইদিন আগে থেকে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একটা পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচিয়ে ও কিছু অংশ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তবে রাস্তাটি মাটি দিয়ে আপাতত পানি রোধ ঠেকানো হয়েছে। সরকারী ও ব্যক্তি উদ্যেগে ত্রান সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে।

টইটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বলেন,চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে।

বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান বদিউল আলম জিহাদি বলেন,ভারী বর্ষনে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ঘরে পানি ঢুকেছে। মানুষ কষ্টে আছে।

শিলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন জানায়,তার ইউনিয়নে প্রায় বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান বিলি হচ্ছে। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় পাহাড় ধ্বসের আশংকা বেশি। কয়েকটি এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সদর ইউপির গোঁয়াখালী টেকপাড়া আমির এলাকার আমির হামযা বলেন,দুইদিন আগে রাতে বাড়িতে পানি ঢুকেছে। মালামাল অন্যত্রে রেখে এসেছি। বাড়িতে থাকার পরিবেশ নেই। পেকুয়া সদর ইউপির সদস্য নুরুল হক বলেন, পানি ছাড়া বাড়ি নেই। প্রতিটি ঘরে পানি।রাস্তাঘাটে হাঁটু পানি। ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সদরের বেশির ভাগ বাড়িতে পানি উঠেছে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের।রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষের কষ্টের সীমা নেই। মগনামা কাজী মার্কেট এলাকার বদিউল আলম জানায়, বাড়িতে হাঁটু সমান পানি। এখানকার প্রতিটি ঘরের চুলা ডুবেছে।

পেকুয়া সদর ইউপি’র চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ বলেন, টানা বর্ষনে ভয়াবহতা রুপ নিয়েছে। নয়টি ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রাম পানির নিচে। সাঁকোরপাড় স্টেশনের পাশে দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ভাঙা পয়েন্ট দিয়ে খালের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা অনেক চেষ্টা করেছে তবে ভাঙন ঠেকাতে পারেননি।

মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন,বলতে গেলে কম বেশি প্রত্যেক গ্রামই পানির নিচে। বাড়িঘরে বৃষ্টির পানি। তবে তিনটি গ্রামের অবস্থা নাজুক। অনেকের বাড়িতে চুলা জ্বলেনা। দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে ব্যক্তি উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং হচ্ছে।

ইউএনও মো. মোতাছেম বিল্যাহ বলেন, পেকুয়ার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিছু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রায় নিয়েছে।কিছু স্থানে গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ টন চাল ও ১০০ বস্তা শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০১ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩০ অপরাহ্ণ
  • ১৮:২৬ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!