কক্সবাজার চকরিয়া বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ার ছড়া শান্তিবাজার এলাকা ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণে বাড়িতে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ২হাজার ৫ শতাধিক মানুষ (বৃহস্পতিবার ২৯জুলাই)।
চকরিয়া কয়েকটি ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে গত সোমবার থেকে টানা প্রবল বর্ষণের কারণে বরইতলী বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে পানিতে প্লাবিত হয়। গত সোমবার ২৬জুলাই পানিবন্ধী অনেক মানুষ অবস্থা করেছে বাড়িতে । আজকেও ভারী বর্ষণের কারণে একাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে শান্তি বাজারের দোকান পাট।
বরইতলী বানিয়ার ছড়া গ্রামের, মধ্যম বানিয়ার ছড়া, হিন্দু পাড়া, উত্তর পাড়ার প্রায় ২হাজার ৫শতাধিক বাড়ি পানির নিচে ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে এলাকার পাশাপাশি ১০/১৫টি মুরগীর খামারও পানিতে ডুবে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারীরা। এতে খামারীরা প্রচুর ক্ষয় ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি।
স্থানীয়া জানান, অভ্যন্তরীণ সড়কের চকরিয়া বরইতলী, বানিয়ার ছড়া, শান্তি বাজার,ডেইংগা কাটা কৈয়ারবিল সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যান পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়কটি সড়ক যােগাযােগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় নৌকা দিয়ে যোগাযোগ করা যাচ্ছে । এদিকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পানি উঠে এমন বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
একদিকে লকডাউনের উপর এ বিপর্যয়ে চরম অসহায়ত্বের কবলে বরইতলী বানিয়ার ছড়া গ্রামের মানুষ। খাল-বিল পানিতে একাকার। চারদিকে বৃষ্টি ব্যান ঢলে এসে জোয়ারের পানির ধাক্কায় রাস্তা-ঘাট ডুবে জনজীবন বিপর্যস্থ ও কোথাও- কোথাও পাহাড় ধ্বংসের ঘটনাও ঘটেছে।
বানিয়ার ছড়া পল্লী চিকিৎসক মো. ইউসুফ উদ্দিন জানান,’ ভারী বৃষ্টি হওয়ায় এলাকার মধ্যম বানিয়ার ছড়া সহ কয়েকটি পাড়ায় পানিতে প্লাবিত হয়। ‘প্লাবিত এলাকায় মানুষের পাঁশে দাঁড়ানোর জন্য সড়ক যখন পানিবন্ধী তখন জনপ্রতিনিধিদের নৌকা দিয়ে মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়া দরকার।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও, অতি বৃষ্টির হলে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য মাইকিং সহ প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনগনকে সজাগ থাকার জন্য নির্দেশ করার হয়।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জালাল সিকদার কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিতে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাছাড়া অনেক গুলো আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা আছে ।