নিজস্ব প্রতিবেদন :বান্দরবান লামায় গরু জবাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৩ চোরকে আটক করেছে জনতা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লামা থানা পুলিশ। এসময় লেগুনা গাড়ি (ছাড়পোকা) থেকে জবাইকৃত মস্তক বিহীন ১টি গরুর বস্তাবন্ধি দ্বিখন্ডিত অংশ সহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
শনিবার(২৬ জুন)সকাল ৭টায় লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ডান হাতির ছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কাঁচা রাস্তা থেকে কাটা গরুর অংশ ও চোরকে আটক করা হয়।
এবিষয়ে গরুর মালিক নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে লামা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটককৃত ৩ আসামীকে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আটককৃত গরু চোর,চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) ও-ই এলাকার মৃত ইসমাইল এর ছেলে মো. তৌহিদ ড্রাইভার(২৪)ও লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডান হাতির ছড়া এলাকার মো.কফিল উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহেদ প্রকাশ জুয়েল(১৯)।
গরুর মালিক নুর মোহাম্মদ জানান,২৫ জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় ডান হাতির ছড়াস্থ কোরবান আলীর কৃষি জমিতে তার পালিত কালচে খয়েরী ষাঁড় গরুটি ঘাস খেতে দিয়ে আসে। বিকাল সাড়ে ৫টায় তার ছেলে রবিউল কাদের ও স্ত্রী গরু আনতে গিয়ে দেখে গরুটি নেই। অনেক খোঁজাখুজি করেও গরুটি পাইনি। শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৭টায় লোক মুখে খবর পায় তাঁর চুরি হওয়া গরুটি জবাইকৃত অবস্থায় মস্তক বিহীন দ্বিখন্ডিত করে প্লাস্টিক ২টি বস্তায় ডুকিয়ে একটি লেগুনা গাড়িতে করে ৩ জন চোর নিয়ে যাচ্ছে। জনতা তাদের আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এই বিষয়ে লামা থানায় একটি চুরির মামলা করেছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, পুলিশ দ্রুত ও যথাসময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলে জনতা ৩ চোরকে গণপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। শতশত মানুষ চোরদের দেখার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়। পরে জবাইকৃত মস্তক বিহীন গরুটি একজনের জিম্মায় দিয়ে তিন আসামীকে থানায় নিয়ে আসি।