পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃরোজা শুরু থেকেই প্রতিদিন শতশত নারী পুরুষ ও অসহায় পরিবারের মাঝে তুলে দিচ্ছেন ইফতার সামগ্রী। গভীররাতে কিংবা দিনে ইফতার সামগ্রী ও মানবিক অর্থ সহায়তা নিয়ে মানুষের ঘরের দরজায় টোকা দিচ্ছেন ক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম।কখনো বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবার কখনো নিজ বাড়িতে ডেকে ইফতার সামগ্রী হাতে তুলে দিচ্ছেন। এ সেবা যেন চেয়ারম্যানে রুটিন ওয়ার্ক এবার তিনি ব্যতিক্রমভাবে মানবিক সহায়তা দিয়েছেন।
পুরো ইউনিয়নের ওয়ার্ড পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বাছাই করলেন বিধবা নারীর তালিকা। একদিকে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পরে কষ্টে দিনপাত করছেন শতশত অসহায় পরিবার। তার উপর খড়ার উপর মরা ঘা যেন বিধবা পরিবারের উপর। তাদের অসাহায়ত্ব দেখে ঘরে বসে থাকতে পারেনি ইউপির চেয়ারম্যান ওয়াসিম। তাদের খোঁজ খবর নিতে ছুটছেন অবিরাম। নিজে ভাল থাকবে আর অসহায় মানুষগুলি না খেয়ে কষ্টে দিনযাপন করবে তা কি করে হয়। তাই সবাইকে অন্তত একটু করে হলেও ভাল রাখতে প্রতিদিন কর্মপরিকল্পা ছক এঁকে মানবসেবায় এগিয়ে চলতে তার প্রানপন চেষ্টা।
তারই ধারাবাহিক অংশ হিসেবে শনিবার (পহেলা মে) বিকেলে মগনামা ইউপির ১ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ২৫০ জন বিধবা পরিবারকে তুলে দিলেন নিজের অর্থায়নে মাহে রমজানের ইফতার পন্য। চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জানায়, রমজান মাসে অসহায় পরিবারের মাঝে ধারাবাহিক ইফতার সামগ্রী বিলি করছি। যতটুকু সম্ভব সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আমার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজকে বিধবা পরিবারের মাঝে সামান্য ইফতারপন্য হাতে তুলে দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে পুরো ইউনিয়নের সকল বিধবা পরিবারের মা-বোনকে দেয়া হবে।
সারা দেশে লকডাউনের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। করোনা সংক্রমনে লকডাউনে মানুষ আজ দিশেহারা। অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে লোকজন। আমি এলাকার বিত্তশালী, ব্যবসায়ী ভাইদেরকে আহবান করব তারাও যেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল তিন কেজি চনা, দুই কেজি করে চিনি,পেঁয়াজ,সেমাই, চনার ডাল, মুড়ি,এক কেজি চিড়া,একটি ঘি,এক লিটার তেল,খেঁজুর, এক প্যাকেট নুডুলসসহ আরো কিছু পন্য।