বান্দরবান সদর উপজেলার ১নং রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী বাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য উঃ কে এস মং-এর গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা।
৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকালে স্থানীয় জনগণের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন পাড়া থেকে আসা হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশস্থল উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

মংতো কারবারির সভাপতিত্বে ও শৈউ মারমার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি ডা. মং উষাথোয়াই মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য উঃ কে এস মং। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বান্দরবান জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যসামং মারমা, রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা, পাহাড় কন্ঠ ডটকমের প্রকাশক সাংবাদিক বাবুল খাঁন, সাবেক নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান শম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, জনসংহতি সমিতিনাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সভাপতি বাবু মং মং মারমা, জনসংহতি সমিতি বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক উবাচিং মারমা, চাইশৈ প্রু মারমা, অজয় বড়ুয়া, প্রকৃতি বড়ুয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার ও অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে কে এস মং-কে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কে এস মং বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম কোনো এক জাতিগোষ্ঠীর একার নয় — এখানে বাঙালি, চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, বম, লুসাইসহ বহু জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হলে সকল জনগোষ্ঠীরই উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কারণে দূরে থাকলেও এখন পাহাড়ের মানুষের কাছে ফিরে এসেছি তাদের পাশে দাঁড়াতে, তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় কাজ করতে।”

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে কে এস মং পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তিনি ইতোমধ্যে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও নাইক্ষ্যংছড়ির দুর্গম এলাকায় গণসংযোগসহ ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও পাঁচ উপজেলায় এ ধরনের সেবা আয়োজনের পরিকল্পনা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন→নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩৪ বিজিবি’র অভিযানে ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার