আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস-২০২৫-বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রয়েছে আদিবাসী। একটি দেশের উন্নয়নে তাদের অবদান ও অর্জনকে স্বীকৃতি দিতেই জাতিসংঘ ৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পর থেকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে সরব পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠী। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর এই দিবসে পালিত হয় এবং প্রতিবাদে মুখরিত হয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠী।
বান্দরবান জেলা সদরে,রাজার মাঠে,শনিবার (৯ আগস্ট) পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস।

প্রতিবছর দিবসটি পালন করার জন্য একটি প্রতিপাদ্য বিষয় বেছে নেওয়া হয়। এ বছরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো” আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারসার্থক প্রয়োগ’ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে বিভিন্ন অধিবাসী জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিশিষ্ট লেখক ও আদিবাসী চলচ্চিত্র নির্মাতা, আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটি,বান্দরবানের আহ্বায়ক ডা.মং ঊষাথোয়াই, সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের সময় বান্দরবানে আদিবাসীরা মন খুলে কথা বলতে পারেনি। সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তথাকথিত পার্বত্য বীর তার আধিপত্য বিস্তার করে পাহাড়ের মানুষের কন্ঠ রোধ করে রেখেছিল। আওয়ামী সরকারের পতনের পর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বান্দরবানের আদিবাসী জনগণ নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, আদিবাসী জনগণ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন, কে এস মং,সন্মানিত সদস্য,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,এহসান মাহমুদ সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক,নির্বাহী সম্পাদক,দৈনিক আমাদের সময়।
খান আসাদুজ্জামান মাসুম,সভাপতি, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন। দীপায়ন খীসা,কেন্দ্রীয় সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও উইন মং জলি,সহসাধারণ সম্পাদক, জনসংহতি সমিতি প্রমুখ।