Logo
বাংলাদেশ[bangla_day] , [english_date]
  1. অনিয়ম
  2. অপরাধ
  3. অপহরণ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন শৃঙ্খলা
  6. আইন-আদালত
  7. আওয়ামীলীগ
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আলীকদম
  10. ইতিহাস ও গল্প

রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত-২,অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার

চনুমং মারমা
আপডেট : July 4, 2025
Link Copied!

রুমা প্রতিনিধিঃ বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর চালানো এক বিশেষ অভিযানে পাহাড়ি সশস্ত্র বাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এর শীর্ষস্থানীয় এক কমান্ডারসহ দুইজন সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোররাতে এই অভিযান পরিচালিত হয় রুমা উপজেলার ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুয়ালপি পাড়া ও পলি প্রাংসা পাড়ার মাঝামাঝি অবস্থিত তাইংদাং ঝিড়ির আগা ও নাইতং পাহাড়ের পাদদেশে। সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ সন্ত্রাসীদের প্রধান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে তাদের ব্যবহৃত ১টি রাইফেল, ও ৩টি এসএমজি ম্যাগাজিন ৮টি ইউনিফর্ম, ৩ টি মিঃ এ্যামো, ৬০ রাউন্ড মিঃ এ্যামো ২৩৭ রাউন্ড বিপুল পরিমাণ গুলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। রুমা সেনা জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল পি এসসি মোঃ আলগীর হোসেন এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গুলিবিনিময়ের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই কেএনএ’র ‘মেজর’ পদমর্যাদার কমান্ডার ও সদস্য তার এক সহযোগী নিহত হন।

অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন রুমা জোন, এসময় রুমা জোন কমান্ডার জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত ব্যক্তিরা সম্প্রতি রুমা ও থানচি এলাকায় সংঘটিত ব্যাংক ডাকাতি ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য মতে, গতকাল রাত থেকেই সেনা সদস্যরা পাহাড়ি ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। “ভোররাতে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এরপর তারা দেখেন সেনাবাহিনী দুইটি মরদেহ নিয়ে মুয়ালপি পাড়ার দিকে আসছেন।”

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পুরো এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে পাহাড়ি সশস্ত্র বাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চলে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংগঠনটি বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ডাকাতি, মুক্তিপণ আদায়, এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

সেনাবাহিনীর এই অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া এবং সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের হতাহতের ঘটনাকে সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।