পাহাড়ের কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) কথা জানান উপদেষ্টা।
বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো। পাহাড়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে চাই এবং পার্বত্য অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চাই উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা লালন করে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশের উন্নয়নের কাজে হাত লাগাতে হবে।পাংখোয়া, মার্মা, খুমী, খেয়াং, বম, চাক, ম্রো, তঞ্চংগা, লুসাই, ত্রিপুরা, চাকমা, বাঙালি সব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে সবাইকে সমান সুযোগের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতার বিধান রাখা হবে। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা তিন পার্বত্য জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তুলতে চাই এবং পাশাপাশি আমরা কমিউনিটি বেইজড সোসাইটি গড়ে তুলবো।’
তিনি সরকার কর্তৃক ধার্য করা রাজস্ব প্রদান নিশ্চিতে সকল সামর্থ্যবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান। দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের ঊর্ধ্বতন পরষিদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং সরকারের উন্নয়ন কাজে সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয় এবং গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে তাদের ৯ দফা প্রস্তাবনা হস্তান্তর করা হয়।