নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে চার দিন ব্যপী পালিত হবে পাহাড়ের প্রাণের উৎসব মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়ে। জেলার ৭টি উপজেলায় বর্ষবরণের উৎসব ঘিরে সাজসজ্জা সজ্জিত পাহাড়ি পল্লী। মৈত্রী পানি বর্ষণের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে সবাই নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে।
“প্রতিটি ফোটায় হোক শান্তির দুত,পৃথিবী হোক শান্ত মৈত্রীময় জলধারায়” এই প্রতিপাদ্যে প্রতিবছরের মতো এবারো বান্দরবানে মহাঃ সাংগ্রাই পোয়ে উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এ উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৮ টায় জেলার রাজারমাঠ হতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়, বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাস্কৃতিক ইনস্টিটিউট,বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উৎসব উদযাপন পরিষদ বান্দরবান এর আয়োজনে মাহাঃ সাংগ্রাইং পোয়েঃ ১৩৮৬ উদযাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
নিজেদের ঐতিহ্যগত পোশাক পড়ে মারমা চাকমা,তংচঙ্গ্যা,ত্রিপুরা সহ পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষজন বর্ণিল সাজে৷ অংশগ্রহণ করেন মঙ্গল শোভাযাত্রায়। শোভাযাত্রাটি রাজার মাঠ হতে শুরু করে উজানী পাড়া, মধ্যম পাড়া ও বান্দরবান বাজার সহ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিন শেষে, ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্টি সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা পরবর্তী সকাল ৯ টায় বান্দবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এর অডিটোরিয়াম হলে মহাঃ সাংগ্রাইং পোয়েঃ১৩৮৬ উদযাপন উপলক্ষে বয়োজ্যেষ্ঠ পূঁজা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় সকলকে সাংগ্রাইং এর শুভেচ্ছা জানিয়ে বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন একদিন আগেই ঈদুল ফিতর পালন করলাম,আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষুদ্র – নৃগোষ্ঠী আছি প্রত্যেকেই নববর্ষ পালন করে।তিনি বলেন প্রার্থনা করি এই নববর্ষে অতিতের ভুল ভ্রান্তি গ্লানি দুঃখ কস্টকে ঘুছিয়ে একটা সুন্দর সকাল পাবো যে দিন থেকে আমরা আগামী পুরো বছরটাকে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ পাবো।সম্প্রিতির ভাতৃত্বের বন্ধনে অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনায় আমরা আগামীতে এগিয়ে যাবো।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমি,পৌর মেয়র মোঃ সামসুল ইসলাম,উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি মং মং সিং সহ সরকারি দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা।
এদিকে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বর্ষবরণের এই উৎসব বয়োজ্যেষ্ঠ পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আগামীকাল জেলার সকল বুদ্ধ ক্যাং এ বুদ্ধ স্নান,রাতে পাহাড়ি পাড়ায় পাড়ায় পিঠা উৎসব এছাড়াও এর পরেরদিন উৎসবের মূল আকর্ষণ মৈত্রী পানিবর্ষন অনুষ্ঠিত হবে জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজার মাঠেে।