ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর গুলিস্থান জিরো পয়েন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় সবাইকে রাস্তায় চলাচলে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় চালক, যাত্রী, পথচারী সবাইকেই আইন মেনে না চলতে হবে। তা না হলে সড়ক দুর্ঘটনা কোনোভাবেই কমানো যাবে না।
এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, প্রধানত চারটি কারণে সড়ক-মহাসড়কে যানজট ও ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা দেখা যায়। এগুলো হচ্ছে- প্রথমত, চালকদের ট্রাফিক সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব। দ্বিতীয়ত, যথাযথ পরিবেশের অভাব। তৃতীয়ত, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অভাব এবং চতুর্থত, এনফোর্সমেন্টের অভাব।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা স্কাউট ও পুলিশ সদস্যদের ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও যানবাহনের কাগজপত্র যাচাইকালে পথচারী ও চালকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার জন্য অলরেডি বলে দিয়েছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর নামের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলনে নামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনচলাকালে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের কাজ করতে দেখা গেছে। এরপর গতকাল শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পুলিশ।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় তিনি জানান, আজ রবিবার থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হবে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।
ট্রাফিক সপ্তাহ পালন উপলক্ষে ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন যানবাহন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহনের চালক, উল্টোপথে যান চলাচল ও বেপরোয়া গতির যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইনভঙ্গের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।