নিজস্ব প্রতিবেদকঃবান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বান্দরবান সেনারিজিয়নের যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনের বিভিন্ন কর্মসুচী ও মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
শনিবার(২ডিসেম্বর)জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে পার্বত্য বান্দরবানে বসবাসরত ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় ও বাঙালিরা নিজেদের ঐতিহ্যগত বর্ণিল পোশাক, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন এই র্যালীতে অংশ নেয়। র্যালী শহরের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শান্তিচুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজারমাঠে বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর ৭ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স এর আয়োজনে গরিব ও অসহায়দের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ওষুধ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি দুস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ, প্রীতি হ্যান্ডবল ও ফুটবল প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সেনাবাহিনী।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ।অন্যান্যদের মধ্যে সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হোসাইন মোঃ রায়হান কাজেমী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মাহাবুবুর রহমান, পৌরমেয়র সামশুল ইসলাম প্রমুখ।
রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শান্তি চুক্তির পরবর্তী জেলায় স্কুল, কলেজ,হাসপাতাল,
যোগাযোগব্যবস্থাসহ সর্বক্ষেত্রে অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে ও এলাকার শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাবলিক প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছে বলে বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন।
পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।