আগামী মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।
২৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনা প্রাঙ্গনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য জানান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। আরও পড়ুন-
এসময় উপস্থিত ছিলেন- চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) জাহেদুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো.ইউছুফ, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাকেব সভাপতি এম.আর মাহমুদ, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হকসহ প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষে চকরিয়ায় ৮’শ ৭৪টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৪’শ ৩০ পরিবারের কাছে মুজিববর্ষের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘর পাওয়া এসব পরিবার ওইসব ঘরে বসবাস করছে।
তৃতীয় দফায় ২’শ ৫০ পরিবারের কাছে মুজিববর্ষের ঘর হস্তান্তর করার জন্য নির্মিত হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৫০টি, সাহারবিল ইউনিয়নে ৫৪টি, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮টি এবং পুর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে ১’শ৩৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘর আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করবেন। পরে তাদের জমির দলিলসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে। আধাপাঁকা এসব ঘর নির্মাণে প্রতি ঘরের জন্য ব্যয় হয়েছে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা করে। এসব ঘরে ২টি রুম, বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভিশন ছিলো দেশে কোন ভুমিহীন পরিবার থাকবে না। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে চকরিয়ায় ইতোমধ্যে ৪’শ ৩০ পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২’শ ৫০টি ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল এসব ঘর তালিকাভুত্ত ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিলসহ হস্তান্তর করা হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্ততি শেষ করা হয়েছে। আমি মনে করি ভুমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবারের জন্য এবারের ঈদ খুব আনন্দের মধ্যে কাটবে।