কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নে মসজিদের গত দু’বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ চাওয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সামনেই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ৬ জনকে পিঠিয়ে জখম করেছে একই কমিটির সম্পাদক ও অর্থসম্পাদকের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের স্বশস্ত্র দুর্বৃত্ত। (৯ এপ্রিল) শনিবার বিকাল ৩ টায় চিরিঙ্গা ইউপির চরণদ্বিপে এ ঘটনা ঘটে ।
চরণদ্বিপ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বশির আলম বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের দাবীর প্রেক্ষিতে মসজিদের সেক্রেটারি আকতার হোসেন ও ক্যাশিয়ার আবদুল মালেকের নিকট থেকে বিগত দু’বছরের আয়-ব্যয় এর হিসাব চাওয়া হয়। তিনি বলেন, আমি নিজে ওই মসজিদের সভাপতি হিসেবে হিসাব চাওয়া এবং মুসল্লিদের হিসাব দেওয়া আমার দায়িত্ব। কিন্তু সেক্রেটারি আকতার ও ক্যাশিয়ার আবদুল মালেক হিসাব দিতে গড়িমসি করে। আরো পড়ুনঃমাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ইয়াবা সহ আটক ২ জন
এলাকাবাসী জানান, মসজিদের হিসাব সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি করতে চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল চৌধুরীর নেতৃত্বে শনিবার(৯ এপ্রিল)বিকেল ৩টায় স্থানীয় চরণদ্বীপ তালিমুল কুরআন মাদারাসায় সংশ্লিষ্ট লোকজনসহ বৈঠকে বসেন। উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই আকস্মিক ভাবে স্থানীয় আলী হোসেন,মসজিদের সেক্রেটারি আকতার হোসেন,ক্যাশিয়ার আবদুল মালেক,জমিরউদ্দিন,রহিমউদ্দিন,মীরকাসেম,আমির হোসেন,মুক্তার হোসেন ও ফরিদুল আলমসহ ১৫/২০ জন স্বশস্ত্র লোক মসজিদেন সভাপতি ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আলমের উপর হামলা করে। হামলাকারিদের কবল থেকে বশির আলম মেম্বারকে রক্ষা করতে এসে বেদম মারধরের শিকার হন তার ছেলে উচমান(৩০),মতিউর রহমানের ছেলে নুরুল কবির(৬৫),বশির আলমের ছেলে মোছা(২০), ইসমাইল (২৮) ও বশির আলম মেম্বারের ভাই জাফর আলম।
ভুক্তভোগি ও হামলার শিকার মোঃ ইসমাইল জানান, মসজিদের হিসাব চাইলে হামলা করেছে সেক্রেটারি ও ক্যাসিয়ারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। পরে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়।
এঘটনায় বশির আলম মেম্বার বাদী হয়ে ৯ জনের নামে থানায় এজাহার জমা দিয়েছন। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, তিনি বিষয়টি শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত এজাহার পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।