নিজস্ব প্রতিবেদন :বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দীর্ঘসময় ধরে খাবার পানির তীব্র সংকট।প্রখর রোদে শুকিয়ে গেছে বেশীরভাগ রিংওয়েল ও টিউবওয়েল। এই অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে অনেকে নদী-খাল, পুকুর, বিল-ছড়া ইত্যাদি দুষিত পানি সংগ্রহ করতেছে।যার ফলে মানবশরীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
প্রতিবছর এই দুর্ভোগে অতিক্রম করতে হয় সাধারণ জনগনের। উপজেলা সদরের কয়েকটা জায়গা বাদে সবজায়গায় পানির সংকট। দুর্গম এলাকার অবস্থা আরো ভয়াবহ। তথ্যসুত্রে জানা গেছে, এলজিইডি কিংবা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে যেসব প্রকল্প নেওয়া হয় তা সদর কেন্দ্রিক।
তাছাড়া এ দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠান পানির উৎসসৃষ্টির প্রকল্পগুলো নিলেও তা বাস্তবায়ন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর। যাতে ৩০/৪০ ফুট মাটির গভীরে গেলেই পানি পাওয়া যায়। চলতি অর্থবছরে আলীকদম এলজিইডি থেকে উপজেলা সদরে ৫টি রিংওয়েল স্থাপনের জন্য গত ২২ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে।
সেসব প্রকল্প স্থাপনে দরপত্র খোলার তারিখ দেখানো হয়েছে আগামী ৬ মে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ধরা হয়েছে ৪৫দিন।সে হিসাবে বুঝাই যাচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের জুন মাসও শেষ হয়ে যাবে! শুরু হবে বর্ষা। তখন স্থাপন করা হবে রিংওয়েল গুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে,সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা সদর এলাকায়ও পানির সংকট চলছে।এছাড়াও উপজেলার পানবাজার,উত্তর পালং পাড়া,পূর্ব পালং পাড়া,প্রভাত পাড়া,সিলেটি পাড়া ও আবুমাঝি পাড়া,কলারঝিরি,পূর্ণবাসন,বাঘেরঝিরি,যোগেন্দ্র পাড়া,তারাবুনিয়া,রোয়াম্ভূ,নয়াপাড়া,মংচা পাড়া, জানালী পাড়া,কুরুকপাতা,পোয়ামুহুরীসহ প্রভৃতি এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে।সকাল-বিকেল রিংওয়েল টিবওয়েলগুলোতে মহিলারা কলসি নিয়ে ভীড় জমাচ্ছেন।জানতে চাইলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মনির আহমদ জানান,চলতি অর্থবছরে আলীকদম উপজেলার জন্য ২৪ টি ডিপ টিউবওয়েল ও মাত্র ৬টি রিংওয়েল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, উপজেলার পোয়ামুহুরী,কুরুকপাতা,দোছরী ও মাংগু পাহাড়ি এলাকায় অন্তত ১৫ হাজার পরিবার বাস করে। সেখানে নিরাপদ পানির কোনো উৎস নাই।ভুক্তভোগী এক নারী নাছিমা আক্তার জানান, “জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনো প্রতিফল পাওয়া যায়নি।দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলে এক কলসি পানি।”এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে চায় সাধারণ মানুষ।