প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০টি জেলার ৩০০ ইউনিয়নের অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটির উদ্বোধন করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং এতে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার শঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০টি জেলার ৩০০ ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটির উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি। ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এখন শঙ্কিত এই স্কুল ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে। কারণ যারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতে পারে, শিক্ষার্থীদের হত্যা করতে পারে, চলন্ত গাড়িতে পেট্রল ছুঁড়ে মেরে মানুষ হত্যা করতে পারে, তারা যখন এর সঙ্গে নেমে আসে তখন তারা কি-না করতে পারে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমার কাছে তথ্য রয়েছে গাউসিয়া মার্কেটে স্কুল পোশাক তৈরির হার অনেক বেড়ে গেছে, পলাশিতে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নামে ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছে, মুখে কাপড় বেঁধে, হেলমেট পরে এরা হামলায় অংশ নিচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি।
প্রযুক্তিকে মানুষের কল্যাণে ও গঠনমূলক কাজে ব্যবহার এবং কোনো গুজবে বা মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে মানুষের যেমন সেবা বাড়ছে তেমনি মাঝে মাঝে কিছু ঝামেলারও সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভেতর একটি অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টিরও চেষ্টা চালাচ্ছে কেউ কেউ।
তিনি বলেন, কেউ গুজবে কান দেবেন না, মিথ্যা অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আমি সকলকে বলব, যাই দেখেন-শোনেন আগে যাচাই করে নেবেন। যাচাই না করে কোনো কিছু করবেন না। বিশেষ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী-যুব সমাজের প্রতি আমার এই আহ্বান থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক-ইউটিব এগুলো ভালো কাজে ব্যবহার করুন, গুজন বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজে নয়। এসবের মাধ্যমে নোংরা বক্তব্য দেওয়া, নোংরা কথা বলা, অপপ্রচার চালানো পরিহার করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি যেন আমরা মানুষের জীবন গড়ার কাজে, জীবনকে সুন্দর করার কাজে ব্যবহার করতে পারি, শিক্ষা গ্রহণের কাজে ব্যবহার করতে পারি, কোনোভাবেই যেন সেটার অপব্যবহার না ঘটে সেটাই আমরা চাই।