পেকুয়া প্রতিনিধিঃ পেকুয়ায় কবির আহমদ চৌং বাজারের অচলাবস্থা কাটাতে সাংবাদিকদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করলেন ইজারাদার। এ সময় পেকুয়া বাজারের ইজারাদার শওকত হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তার লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, পেকুয়া বাজার নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চক্রান্ত করছে। ওই চক্র বাজারে বিশেষ সিন্ডিকেট করে ক্রেতা বিক্রেতা ও ভোক্তাগণদের জিম্মী করে। আমরা জুলুম ও নিপীড়ন থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বিক্রেতাদের মুক্ত করেছি। সর্বোচ্চ ইজারা মূল্য দিয়ে সরকার থেকে এ বাজারটি ইজারা নিয়েছি। ওই সিন্ডিকেট যারা এত বছর ধরে পেকুয়া বাজারকে বৈষম্যের মধ্যে রেখেছিল এরাই এখন আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পেকুয়া বাজারের ইজারার হাসিল অন্যান্য হাটবাজার সমুহের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। যেমন গরু ও ছাগল বিক্রির হাসিল এ বাজারে আমরা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কম নিয়ে থাকি।
আনোয়ারার সরকার হাটে একটি গরুর যে ভাবে হাসিল নেয় আমরা এর চেয়ে এখানে কম নিয়ে থাকি। এ ছাড়া পদুয়া, কেরানীহাট, ইলিশিয়া বাজার, খরুলিয়া বাজারসহ আরো নামকরা কিছু হাট বাজারের চেয়ে এখানে গরু ছাগলের হাসিল কম। বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত হয় বিশেষ ব্যক্তির ইশারায়। তারা ইজারাদারকে হাসিল দেয়না। উপভাড়া দিয়ে প্রতিটি দোকান ৫ লক্ষ, ৪ লক্ষ টাকা করে সালামি নিয়েছে। মাসিক ভাড়া নেয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আমরা সরকার থেকে ইজারা নিয়েছি। সরকারী খাস জায়গায় ভ্রাম্যমান দোকান। সেখানে বিশেষ ব্যক্তি কিভাবে ভাড়া আদায় করে। আমরা যখন এ সবের উদঘাটন করছি তখন আমাদেরকে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। যে কয়েকজন ব্যবসায়ীর উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন দেখানো হয়েছে এরা ষড়যন্ত্রকারী। বিশেষ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেয় তারা। এক বছরের জন্য বাজারের ইজারা নিয়েছি। এখানে আমরা সরকার নির্দেশিত হাসিল আদায় করতে সক্ষম থাকবো। আর কেউ যদি বাজারকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চান আমরা পরিষ্কার করে বলছি এখানে আপনাদের মুখোশ উম্মোচন করা হবে। বাজারের রাস্তা জবর দখল করা হয়েছে। মানুষ চলাচল ও মালামাল পরিবহন সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা সংকোচিত সড়ক উম্মুক্ত করার কাজ করছি। সেখানে এখন বাঁধা আসছে। বাজার সমিতি সরকারী জায়গায় অফিস করছে। এ জায়গাটি ইজারার আওতাভূক্ত। আমরা যখন এ সব বিষয়ে যৌক্তিক কথা বলছি তখন তারা একটি চক্রকে উস্কানি দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। তারা সংবাদ সম্মেলন করেছে। এর আগে কখনো কি আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। বিপুল অর্থ দিয়ে বাজার ইজারা নিয়েছি। এখানে আমরা কোন অন্যায় করছিনা। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনা এনে হাসিল আদায় করা হচ্ছে। এখানে আগে চাঁদাবাজি হয়েছে। প্রত্যেক দোকান থেকে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। আমরা এসে এসব বন্ধ করেছি।
৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার দিকে পেকুয়া বাজার ইজারাদারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। এ সময় বক্তব্য দেন কবির আহমদ চৌং বাজারের ইজারাদার শওকত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগ নেতা মফিজুর রহমান, সাইফুদ্দিন খালেদ, যুবলীগ পেকুয়ার সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, জাতীয় শ্রমিকলীগ পেকুয়ার সাধারন সম্পাদক এস,এম শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। ওই দিন শওকত হোসেনের নিজ কার্যালয়ে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে পেকুয়ার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।