পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের পেকুয়ায় শিলখালী হাজিরঘোনা জামে মসজিদ সড়ক বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ইট ওঠে গেছে প্রায় ৪/৫ বছর আগে।কাঁচা সড়কে যাতায়ত করা এলাকাবাসির দুস্কর হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার বঞ্চিত থাকায় নানা দূর্ভোগে রয়েছে এলাকাবাসি।
হাজিরঘোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মূল সড়ক পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তাটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সংষ্কারকাজ না হওয়ায় সড়কটি এখন বিলুপ্তির পথে।
মোস্তাক মেম্বারের বাড়ি থেকে হাজিরঘোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত সড়কের ৫ চেইনমত অংশ এখন খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। সড়কে ৫ চেইন অংশে ইট বসানো ছিল। বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে সড়কটি সংষ্কারকাজ হয়েছিল।
এলাকার বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাঈম জানান, সড়কটি খুবই গুরুত্বপুর্ন। ইট ওঠে গেছে অনেক বছর আগে। কাঁদায় ভরপুর সড়কটি। মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। দ্রুত সংস্কার চাই। স্থানীয় ইলিয়াস, বশির আলম, আনিস,বেলাল উদ্দিন বলেন, সড়কের ৫ চেইন পর্যন্ত কাঁদা। বৃষ্টি ও আর পিচ্ছিল কাঁদায় সড়ক দিয়ে চলাচল থেমে গেছে। মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় ও ইবাদত করাও অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কটির কারনে হাজিরঘোনা গ্রামের মানুষের কষ্টের সীমা নেই।
জানাগেছে,হাজিরঘোনা জামে মসজিদ থেকে মোস্তাক মেম্বারের বাড়ি ছাড়াও সড়কটির দক্ষিণ অংশে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আলম মেম্বারের বাড়ি হয়ে সাঁকুরপাড় প্রধান সড়ক পর্যন্ত ১৫ চেইন মত রাস্তাটিও প্রায় নাজুক অবস্থায়। মসজিদের যাওয়ার জন্য সড়কটিতে সংষ্কারের জন্য স্থানীয়রা গত কয়েক বছর ধরে বালি, মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করছিলেন।
ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা তাজ উদ্দিন ভূট্টো জানান, এ সড়কটি মূলত আমাদের জায়গা জমির উপর দিয়ে নির্মিত হয়েছিল।আমার পিতা অবিভক্ত বারবাকিয়ার মেম্বার ছিলেন।আমরা একটি সড়কের কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছি।আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু অর্থ ব্যয় করেছি।শিক্ষক জোবাইর আহমদ জানান, মসজিদে যেতে খুব কষ্ট হয়। জরুরী ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে সড়কটি উন্নয়নের দাবী জানাচ্ছি।
সাবেক ইউপি সদস্য মর্জিনা আক্তার জানান, সড়কটি বিলুপ্তির পথে। হাটা চলা থেমে গেছে।সড়ক সংষ্কার অত্যন্ত জরুরী।ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন জানান,সড়কটি জনগুরুত্বপুর্ন। দ্রুত সংস্কার করা হবে।