ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন তার। কিন্তু অর্থের কাছে হেরে যেতে হচ্ছে মেধাবী ছাত্রী পলি রাণীকে। তার পরিবারের সামর্থ্য না থাকায় ভর্তি হতে পারছেন না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দিনমজুর বাবার মেয়ে পলি রাণী অর্থের অভাবে ছোটবেলা থেকে মামার বাড়িতে থেকে অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে আসছেন।
দিনমজুর বাবার পক্ষের অর্থের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সারাদিন স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে ট্রাকের মালামাল আনলোড করার কাজ করেন পলির বাবা হলধর রায়। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ শ টাকার আয় দিয়ে চলে তাদের কষ্টের সংসার। জমাজমি বলতে ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছু নেই। পলির মা জয়ন্তী রাণীরও অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। মাঝে মাঝে মাঠে শ্রমিকের কাজও করেন।
স্থানীয়রা জানান, মামার বাড়িতে থেকে উপজেলা সদরের আদিতমারী কেবি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২০১৭ সালে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৫৫ পেয়ে এসএসসি ও একই কলেজ থেকে ২০১৯ সালে জিপিএ ৪.৫৮ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় এ ইউনিটে ৫২৭তম স্থান লাভ করেন। আগামী সপ্তাহে পলির ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ।
পলির বাবা দিনমজুর হলধার চন্দ্র রায় জানান, ‘ভাই মুই কামলা মানুষ, মোর ছাওয়া কি টাকার কাছত (কাছে) হারি যাইবে?’ তিনি মেয়ের স্বপ্ন পূরণে সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেন।’ মেধাবী পলির মা জয়ন্তী রাণী রায় মেয়ের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেন।