কক্সবাজার: টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে মিজানুর রহমান নামের একজনকে বন্দুক যুদ্ধ নামে হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।রোববার ১৩ সেপ্টেম্বর সিনিয়র বিচারিক আদালত (টেকনাফ -৩)এ এই মামলার আবেদন করেন নিহত মিজানুর রহমানের বড়বোন নূর নাহার। এ মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান অভিযুক্ত করে আরো ১২জনকে আসামী করা হয়েছে।তৎমধ্যে পুলিশ ছাড়াও একজন দফাদার রয়েছে ঐ মামলায়।নিহত মিজানুর রহমান হোয়াইক্যংয়ের জিমনখালী এলাকার বাসিন্দা।বাদি পক্ষের আইনজীবী জুলখার নাইন জিল্লুর এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার আবেদনে বাদি উল্লেখ করেন, মিজানুর রহমান একজন ব্যবসায়ী।তিনি টেকনাফের উপজেলা মার্কেটের ছোটখাটো ব্যবসায়ী ছিলেন। গত২০২০ সালের ৪এপ্রিল টেকনাফ থানা পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ তার বাড়িঘর, আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং নগদ ২০লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেয়া হয়।
ঐ পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে নানা প্রচেষ্টায় ২ লাখ টাকা জোগাড় করে পুলিশকে দেন। কিন্তু আরো ১৮ লাখ টাকা দিতে না পারায় ৫ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে নিজের এলাকায় এনে মিজানুর রহমানকে বন্দুক যুদ্ধ দেখিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
বাদীর আইনজীবি বলেন, ফৌজদারি মামলায় এজাহারটি আমলে নিয়ে আদালত ওই ঘটনা সংক্রান্ত অন্য মামলা আছে কিনা তা আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে টেকনাফ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।উল্লেখ্য যে বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ অবঃ মেজর সিনহা হত্যা মামলায় বর্তমানে কক্সবাজার কারাগার হতে দুদকের করা মামলায় চট্রগ্রাম জেল হাজতে রয়েছেন।