রামুর গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাজহারুল ইসলাম লিজান নামে এক শিক্ষার্থীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করা হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। মাজহারুল ইসলাম লিজান গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে সে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ছাত্রের বাবা নাইক্ষ্যংছড়ির জারুলিয়াছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম অভিযোগে বলেন- তাঁর ছেলে সোমবার সকালে স্কুল ড্রেসে বিদ্যালয়ে যান। স্কুল মাঠে তাঁর ওপর পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে সাদেকুর রহমান ও আবু ছিদ্দিক নামের দুই বখাটে হামলায় অংশ নেন। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছেলেকে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
নুরুল ইসলাম আরও জানান- বিদ্যালয়ের মাঠে মর্মান্তিক এ ঘটনার পর সর্বত্র জানাজানি হলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কায়ছার জাহান চৌধুরী আহত ছাত্রকে দেখতে আসা তো দূরের কথা খোঁজখবরও নেননি। ঘটনার বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রামু থানায় সোমবার রাতেই লিখিত এজাহার দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন করেও প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে রামু থানার নিয়ন্ত্রণাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মো.ফরহাদ আলী বলেন- স্কুল ছাত্র আহত হওয়ার খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। লিখিত এজাহার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সংবাদ প্রেরক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, নাইক্ষ্যংছড়ি।