আজ রবিবার (১ মে/২০২২) খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন বেতছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায় মাঠে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দীঘিনালা জোনের আয়োজনে অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও সেপকস এর পক্ষ থেকে ত্রাণ ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি রিজিয়ন এবং সেনা পরিবার কল্যাণ সংস্থা (সেপকস) যৌথ উদ্যোগে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬০০০ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও নতুন পোষাক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং খাগড়াছড়ি রিজিয়নের সেনা পরিবার কল্যাণ সংস্থা (সেপকস) সহ-সভাপতি রাবেয়া জাহাঙ্গীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন পাহাড়ী-বাঙ্গালী নির্বিশেষে সব সময় পার্বত্য অঞ্চলে সাহায্য সহযোগিতার কাজে এগিয়ে এসেছে।এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এবং সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে আছি। এদেশে সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজদের কোন স্থান নাই।আমরা এ পার্বত্য অঞ্চলের সকলের সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, তাই ঈদে সকল ধর্মের লোকের মাঝে সেনাবাহিনীর প্রাপ্ত রেশন ও বরাদ্দ থেকে বাচিয়ে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। আমরা এই ঈদেও সকলের সাথে আনন্দ এবং উৎসব ভাগাভাগি করে কাটিয়ে দিতে চাই। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ভালো কাজের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আমরা সবসময় মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
১ নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ী-বাঙ্গালী নির্বিশেষে এই এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সর্বদা বদ্ধপরিকর।আমরা সেনাবাহিনীর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সুখে-দুঃখে সবসময় যেকোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাশে আছে তাই আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার (জিটুআই) মেজর মোঃ জাহিদ হাসান, দীঘিনালা জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল চৌধুরী মোহাম্মদ ফাহিম আশরাফী এবং উনার সহধর্মিণী রেহনুমা মুনজুর প্রমুখ।