নাজিম উদ্দিনঃকক্সবাজারের পেকুয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে এক জিলহাস প্রকাশ জিয়া (২৪) নামের এক দিনমজুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। জিলহাস উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি কইড়াপাড়া এলাকার হাবি আলমের ছেলে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালো টইটংয়ের সোনাইছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওই দিনমজুর ঘটনা দেখতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৮ শতক জায়গা নিয়ে পশ্চিম সোনাইছড়িতে মৃত মুহাম্মদ হাসেমের পুত্র হোসাইন মো. এরশাদ গং ও আহমদ ছবির পুত্র শফি আলম গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই দিন সকালে শফিউল আলম গং বিরোধীয় জমিতে জবর দখল চেষ্টা চালায়। এরশাদ গংদের জায়গায় ঘেরা বেড়া দেয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এ সময় এরশাদ গংদের কয়েকজন মহিলা গিয়ে জায়গার জবর দখলে বাধা দেয়। এতে করে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
জিলহাস প্রকাশ জিয়ার স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, আমার স্বামী কোন পক্ষের নন। জায়গা নিয়ে বিরোধ এরা দু’পক্ষের। কিন্তু আমার স্বামী ঘটনা দেখতে গিয়েছিলেন। আহমদ ছবির পুত্র শফি আলম আমার স্বামীকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।জিয়ার বোন কহিনুর আক্তার জানান, আমার ভাই দিনমজুর। তার অবস্থা খুবই মারাত্মক। তাকে মাথায় কুপানো হয়েছে। মো. মিজানের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা জানান, শফি জমি জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে জিয়াকে কুপিয়েছে। এমনকি প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একটি কুঁড়েঘরে অগ্নিকান্ডের নাটক করে।
মো: মোর্শেদের স্ত্রী তৈয়বা বেগম, মনিরের স্ত্রী বুলু, জমিরের স্ত্রী শাহানা বেগমসহ আরো অনেকে জানান, শফি আলম বাহির থেকে সন্ত্রাসী এনেছে। এ জায়গাটি এরশাদ গংদের বাপ দাদার দখলীয় জায়গা। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আমি দ্রুত সেখানে গিয়েছিলাম। দুইপক্ষের উত্তেজনা প্রশমিত করেছি। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসবো। ঘটনার সমাধান করার চেষ্টা করব।
পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন,এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।