মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহঃফেইসবুক পোষ্টকে কেন্দ্র করে বান্দরবান মাছ বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।এতে বান্দরবান মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি সহ ৮ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।সূত্রে জানা যায়, গতকাল ও ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে বান্দরবাসী ফেইজে “চিংড়ী মাছে জেল মিশ্রণ “সংক্রান্ত ২ টি পোষ্ট আপলোড করা হয়।মাছ ব্যবসায়ী শুক্কুর কে এতে সন্দেহ করা হলে শুক্কুর এতে অস্বীকার এবং চ্যালেঞ্জ করে।এভাবে কথা কাটাকাটি করার এক পর্যায়ে মাছ ব্যবসায়ী দুলাল ও শুক্কুরের মধ্যে হাতাহাতি হয়।পরবর্তীতে দুলাল ও শুক্কুরের লোকজন এর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিনিও আহত হন।এক পর্যায়ে সদর থানার এস আই মিঠুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ আহত মাছ ব্যবসায়ী শুক্কুর, আফসার,বাপ্পি,দুলাল,সিরাজ,আমিন, রুবেল কে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে যাবার পরামর্শ দিলে তারা হাসপাতালে যান এবং দুপক্ষের যদি কোন অভিযোগ থাকে,তাহলে চিকিৎসা শেষে থানায় এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,আহতদের মধ্যে আফসার ও শুক্কুরের অবস্থা কিছুটা গুরতর,তবে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে।
এ ব্যপারে বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনসার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান,মাছ বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শোনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি রফিক জানান,মাছ বাজারে সকালে কয়েকজন ব্যবসায়ী হাতাহাতি করতে দেখলে আমি তাদের থামাতে গেলে আমার ঠোোঁট ফেটে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়।আমি চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে চলে যাই।তিনি আরও জানান,ব্যবসায়ীদের যেকোন ঝামেলা হলে এটি সমিতির অফিসে সমাধান করা হয়।কিন্তু এরা উশৃঙ্খল এরা সমিতিকে মানতে নারাজ মনে হলো।
উল্লেখ্য,বান্দরবান মাছ বাজারে চিংড়ি মাছের ভেতর জেল ঢুকিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ আছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২১ তারিখ চিংড়ি মাছে জেল পাওয়ার অপরাধ মোঃ ইমরান (২৯),পিতাঃ এনামুল হক কে ভ্রাম্যমান আদালত বিশ হাজার টাকা জরিমানা করে।