পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আকাশপথ ব্যবহারে প্রযোজ্য আমদানি শুল্কমুক্ত ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বুধবার, ২০-নভেম্বর, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জনস্বার্থে এই আমদানি শুল্কমুক্ত করা হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য করা হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য, যতদিন আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে ততদিন পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এই আমদানি শুল্কমুক্ত ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে সর্বার্থ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আকাশপথে যেকোনো পচনশীল দ্রব্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা শুল্কহার প্রদান করতে হয়। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এ শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টা নাগাদ কার্গো বিমানে করে মিসর, তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ বিমানে আনা প্রথম চালান আজ বুধবার পৌঁছবে। এটি মঙ্গলবার আসার কথা ছিল। পেঁয়াজ লোডিংয়ে সমস্যা হওয়ায় ২৪ ঘণ্টা পিছিয়েছে। বিমানে আনা পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
এ ক্ষেত্রে সরকার ভর্তুকি দেবে। পেঁয়াজবাহী বিমান দেশে পৌঁছলেই চার-পাঁচশ ট্রাকের মাধ্যমে সারা দেশে বিক্রি শুরু হবে। যাতে সব জায়গায় দামটা কমে যায়।