পেকুয়া(কক্সবাজা)প্রতিনিধিঃ নাম খায়রুন্নেছা। উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণাফাঁড়ি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। পেকুয়া মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা জাহাঙ্গীর একজন দিনমজুর। প্রেম,অতপর বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা চইরভাঙ্গা এলাকার ওবাইদুল হকের ছেলে মো. মুজিবুর রহমানকে।
গত সাত মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। একটু সুখের আশায় পাড়ি দেয় চট্টগ্রাম শহরে। মনের মানুষকে বিয়ে কতইনা সুখ। কিন্তু সে সুখ বেশিদিন গড়ায়নি।বিয়ের এক মাসের মাথায় শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। প্রিয় স্বামী মুজিব তাকে যৌতুকের জন্য বারবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় দিতে মনস্থীর করে পাষন্ড মুজিব। তাই বুকে ছোরা চালাতেও একটু বুক কাঁপেনি তার।
গত ২২ আগস্ট চট্টগ্রামের চাঁদগাও আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসায় ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টা চালায়। ধারালো ছোরা দিয়ে একটি স্তনে ক্ষতবিক্ষত করে ওই পাষন্ড স্বামী। এর পরপরই ওই পাষন্ড স্বামীকে চট্টগ্রামে আটক করে পুলিশ।
আহত অবস্থায় মেয়েটিকে তাৎক্ষিনকভাবে চট্টগ্রামে চিকিৎসা দেয়া হলেও দিনমজুর পিতা আর্থিক অভাবের কারণে চিকিৎসা করাতে না পেরে পেকুয়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে তার ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হলে খায়রুন্নেছাকে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
এনজিও সংস্থা ব্রাক আইনী সহায়তা দিলেও চিকিৎসায় আর্থিক সমস্যার কারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন আহত ছাত্রীর মা মাশুকা বেগম।
মা মাশুকা বেগম (০১৮২৩-৫৩৫২৬৯ বিকাশ)