বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
থানচিতে কেএনএফ সতর্কতায় বিজিবি’র গণসংযোগ বান্দরবান ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফের আরও ৫ জন রিমান্ডে নাজুক পরিস্থিতিতে ভুগছে থানচির পর্যটন কেন্দ্র গুলো বান্দরবান থানচি ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফ সদস্য ও সহযোগী রিমান্ডে  নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবির মহাপরিচালক দুর্গম ধুপানিছড়া যৌথ বাহিনী অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৯জন আটক বান্দরবান কেএনএফের আরও ৪ সদস্য কারাগারে নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালন বান্দরবান যৌথবাহিনীর অভিযানে এক নারীসহ কেএনএফ এর আরো ৩জন গ্রেফতার আরো ১জন কেএনএফ সহযোগীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

রাস্তার কারণে সারাদেশে লবণ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম 

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১
  • ৪৫৬ জন নিউজটি পড়েছেন

বিশেষ প্রতিবেদক:কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর লবণ শিল্প এলাকা হতে সারাদেশে লবণ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একমাত্র চলাচলের পথ ‘ইসলামপুর-বটতলী দেড় কিলোমিটারের সড়কটি’ খানা-খন্দে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন দূরে থাক পায়ে হাটাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। গর্তে পড়ে উল্টে খাদে পড়ছে লবণ বোঝাই ট্রাক। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। লবণ পরিবহণে সরকারি রাজস্বের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে সড়ক উন্নয়ন ফি দেয়ার পরও যাতায়াত দুর্ভোগে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে মিল মালিক, লবণ ও পরিবহণ ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের মাঝে।

সড়কটি দ্রুত সংস্কারদাবিতে পথে নেমেছে এলাকাবাসী। ইসলামপুর সমাজ কল্যাণ ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে শুক্রবার ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে তারা। মানববন্ধনে স্থানীয় মিল মালিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাসহ নানাপেশার লোকজন অংশ নেন।

সূত্র জানায়,স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ১৯৭২ সালে মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক উদ্যোক্তা ইসলামপুর লঞ্চ ঘাটে ‘কক্সবাজার সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে লবণ মিল স্থাপন করেন। এতদঞ্চলে উৎপাদিত লবণ সেই মিলে প্রক্রিয়াজাত করার মধ্য দিয়ে লাভবান হচ্ছে দেখে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লবণ মিল। কালের পরিক্রমায় এখানে বর্তমানে লবণ মিল রয়েছে প্রায় ৭০টি। এখন নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম চালাচ্ছে অর্ধশতাধিক। কক্সবাজার জেলার অধিকাংশ লবণ এখানকার মিলে আনা হয়। আর দেশের চাহিদার ৯৫ শতাংশ লবণ কক্সবাজারেই উৎপাদন ও এখান থেকে সারা দেশে সরবরাহ হয়। বর্ষা মৌসুমেও প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ ট্রাক লবণ নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। গ্রীষ্মে ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০-৭০টিতে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নাপিতখালী বটতল এলাকা হয়ে ইসলামপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক দিয়েই লবণের এসব ট্রাক মহাসড়কে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আরকান সড়কের বটতলী স্টেশন থেকে ইসলামপুর বাজার পর্যন্ত পুরো সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তে পানি জমে একাকার হয়ে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

অপর একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বটতলী স্টেশন থেকে চৌফলদন্ডী ব্রিজ পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরে টেন্ডার হয়। মেসার্স চকরিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এর কার্যাদেশ পায়। উন্নয়ন প্রকল্পের বেশ কয়েকটি কাজ শেষ হলেও ইসলামপুর বাজার থেকে নাপিতখালী পর্যন্ত কার্পেটিং হয়নি এখনও।

স্থানীয় লবণ ব্যবসায়ী হারুন রশিদ জানান, সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। তাছাড়া শিল্প নগরী হিসেবে প্রতিদিন প্রবেশ করে লবণ বোঝাই ট্রাক। সড়কের বেশকিছু অংশ জুড়ে খানাখন্দে ভরে থাকায় চালকরা এ সড়কে প্রবেশ করতে চান না। এমনটি হলে সারা দেশে লবণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ট্রাক চালক বশর আহমদ বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া হয় আমাদের। ইসলামপুরের মত অকেজো সড়ক কোথাও দেখিনি। বৃষ্টির পানি জমে থাকলে বুঝা যায় না কোথায় গর্ত আর সমতল। সরু হওয়ায় অন্য পাশ দিয়েও যাওয়া যায় না। এতে অনেক ট্রাক দুর্ঘটনায় শিকার হয়।

ইসলামপুর লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম দাদাভাই বলেন, লবণ পরিবহণের বিপরীতে ট্রাক প্রতি রাজস্ব দেয়া হয়। ফি বছর কোটি টাকা রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমলেও সেই অনুপাতে সড়কটি উন্নয়ন নেই। বিগত চার বছরেরও অধিক সময় খানা-খন্দে ভরা সড়কটি। বছর দুয়েক আগে সড়কটি মেরামতে টেন্ডার হয়েছে জানলেও ঠিকাদার কাজ সম্পন্ন করেনি। তবু থেমে নেই লবণ পরিবহন। মোটামুটি চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বছর তিনেক আগে থেকে সড়ক উন্নয়ন ফি নামে একটি টাকা প্রতি ট্রাকে ট্রান্সপোর্ট চালানের সময় দেয়া হচ্ছে। এরপরও সড়কটির গর্ত ভরে না। বুধবার ও শুক্রবার লবণ বোঝাই দুটি ট্রাক সড়কের গর্তে পড়ে উল্টে গিয়ে লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ী। দুর্ঘটনার কারণে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।

ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, বটতলী স্টেশন-ইসলামপুর বাজার সড়কটি শিল্প এলাকা হিসেবে ২৫-৩০ মেট্রিকটন ওজন নিয়ে যান চলাচল হয়। কিন্তু এলজিইডির সড়ক হিসেবে এটি তৈরি হয় ১২-১৫ মেট্রিকটন ওজন বহনের উপযোগী হিসেবে। এতে সড়কটির জোড়াতালির সংস্কার কোন কাজে আসে না। চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হলে সড়কটি শিল্পাঞ্চল হিসেবেই গড়ন জরুরী।

চলমান সংস্কার কাজের সার্বিক বিষয়ে জানতে মেসার্স চকরিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির মালিক ফরিদুল আলমের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হয়। রিং হলে তিনি রিসিভ না করে বার বার লাইন কেটে দেয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, সড়কটি আসলেই অতিগুরুত্বপূর্ণ। চলমান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ১৮:২৮ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!