পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃকক্সবাজার পেকুয়ায় গাঁজা বিক্রির অযুহাতে এক মুরগি বিক্রেতার পরিবারকে পিটিয়েছে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান।ছেলেকে উদ্ধার করতে এসে ওই চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের হাতে রক্তাক্ত হলেন তার বাবা-মা। বৃহষ্পতিবার (১৫জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের টইটং বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ওই ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া গ্রামের মৃত.আব্দুল আজিজের ছেলে আবুল বশর কালু (৫০), স্ত্রী সাজেদা বেগম (৪০), দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮) ও আরিফুল ইসলাম (১৫)। আহতরা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।আবুল বশর টইটং ইউপির ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক।
আবুল বশর কালু বলেন,আমার ছেলে সাইফুল ইসলাম টইটং বাজারে মুরগির ব্যবসা করেন। পাশাপাশি বালু ব্যবসাও করেন। চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী গাঁজা বিক্রির অযুহাত দেখিয়ে আমার ছেলেকে নির্দয় পিটিয়ে আহত করেন। ছেলেকে মারধরের খবর শুনে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে টইটং বাজারে ছুটে যাই। চেয়ারম্যানের কবল থেকে তাকে উদ্ধারের প্রানপন চেষ্টা করি। কিন্তু প্রতাপশালী পাষন্ড ওই চেয়ারম্যান ও তার ভাই আহসান উল্লাহ চৌধুরী বাজারে প্রকাশ্যে লোহার চেইন দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমার ছেলে গাঁজা বিক্রি করে নাকি বাজারে মুরগি বিক্রি করে আপনারা খবর নিয়ে দেখুন।
সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আক্তার বলেন, বটতলী ছরা থেকে স্বামী এক সপ্তাহ ধরে বালু উত্তোলন করছে। দুপুরে ছরার পাশে বোনের বাড়িতে যায় সাইফুল। সেখানে চেয়ারম্যান জাহেদ গ্রাম পুলিশ নিয়ে হানা দেয়। এ সময় গাঁজা বিক্রির কথা বলে মারধর করে টইটং বাজারে ধরে নিয়ে আসে। বিষয়টি ননদি রোজিনা আক্তার মুঠোফোনে জানালে আমরা টইটং বাজারে যাই। এ সময় স্বামীকে উদ্ধার করতে গেলে শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে। গত কয়েক মাস আগে তিনি ওমান থেকে দেশে এসেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, চেয়ারম্যান জাহেদ খুব প্রতাপশালী ও প্রভাবশালী। তার কথায় বাঘ মহিষ এক বালতিতে জল পান করে। তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ করার সাহস পায়না।
টইটং ইউপির চেয়ারম্যান (বহিস্কৃত) জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে কয়েকজন লোক এক বস্তা গাঁজা আনে টইটংয়ে। সীমান্ত ব্রীজ থেকে সিএনজি করে এসব গাঁজা বটতলী তার বোনের বাসায় রাখে। হাসিব নামের এক যুবককে আনোয়ারা থেকে আসা লোকজনকে নিয়ে টইটং বাজারে ভাত খাওয়াতে পাঠায়। সাইফুল মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়। সাইফুলের খোঁজে তারা তার বাড়িতেও যায়। দুপুরের দিকে হাত পা বেঁধে হাসিবকে সীমান্ত ব্রীজের পাশ থেকে আনোয়ারার লোকজন তুলে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানায়,গাঁজা বিক্রির ৩লাখ টাকা দাবী করে নির্যাতন চালায় হাসিবের উপর। বিষয়টি হাসিবের ভাই রাকিব আমাকে জানালে গ্রাম পুলিশ নিয়ে সাইফুলকে ধরতে যাই। টইটং বাজারে এসে সাইফুলের পরিবার উচ্ছৃঙ্খলতা করলে কয়েকটা চড়থাপ্পর দেয় লোকজন। আমি কাউকে মারধর করিনি। কালু সব সময় আমার সাথে থাকে। আমার বুকে থেকে ছেলেকে দিয়ে গাঁজা বিক্রি করবে তা কখনো হতে পারেনা। মন চাইলে গাঁজা বেপারীর পক্ষে লিখতে পারেন অসুবিধা নেই।