বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
বান্দরবান ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফের আরও ৫ জন রিমান্ডে নাজুক পরিস্থিতিতে ভুগছে থানচির পর্যটন কেন্দ্র গুলো বান্দরবান থানচি ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফ সদস্য ও সহযোগী রিমান্ডে  নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবির মহাপরিচালক দুর্গম ধুপানিছড়া যৌথ বাহিনী অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৯জন আটক বান্দরবান কেএনএফের আরও ৪ সদস্য কারাগারে নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালন বান্দরবান যৌথবাহিনীর অভিযানে এক নারীসহ কেএনএফ এর আরো ৩জন গ্রেফতার আরো ১জন কেএনএফ সহযোগীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বান্দরবান গ্রেপ্তারকৃত কেএনএফের ৫২ জন কে কারাগারে পাঠালো আদালত

চকরিয়া পৌর নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান: এমপি জাফর আলমকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি

ইসমাইলু করিমঃ
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১
  • ৩১৫ জন নিউজটি পড়েছেন

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃচকরিয়া পৌর নির্বাচনে নিজ দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরওয়ার আলমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) জেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত ৮ জুন চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও চকরিয়া পৌরসভার নৌকার মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী উপর হামলা ও দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে বহিষ্কার করে। এ ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একপক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন কক্সবাজার—১ আসনের সাংসদ জাফর আলম। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার চিংড়ি চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে সাংসদ ধাক্কাধাক্কিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জাহেদুল ইসলামের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় আঘাত পেয়েছেন চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেফায়েত সিকদার।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধিতা করা ও নির্বাচনী সফরের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি—সম্পাদকের সভায় উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে মঙ্গলবার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষরে চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসলেহ উদ্দিন মানিককে। এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িলে পড়লে লিটুর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন বলেন, মঙ্গলবার রাতে পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষে পৌর ভবনের পাশে চিংড়ি চত্বর এলাকায় বসেন চকরিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, যুবলীগের নেতা রেফায়েত সিকদারসহ ৪০—৫০ জন নেতা—কর্মী।

ওই সময় বেতুয়া বাজার এলাকায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার জানাজা শেষে পৌরসভার চিংড়ি চত্বর এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কক্সবাজার—১ আসনের (চকরিয়া—পেকুয়া) সাংসদ জাফর আলম।ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখে লাঠি হাতে গাড়ি থেকে নামেন সাংসদ। এ সময় কয়েকজন কর্মী—সমর্থককে পিটুনি দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুল ইসলাম আওয়ামী লীগের নেতা আতিক ও যুবলীগের নেতা রেফায়েত সিকদারকে ধাক্কা দেন। এতে তাঁরা আহত হন। ওই সময় চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি জাহেদুল ইসলামও সাংসদের গাড়ি থেকে নেমে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা মেয়র আলমগীর চৌধুরী সাংসদকে গাড়িতে তুলে দিলে সাংসদ বাড়ি ফিরে যান।

তবে খবর ছড়িয়ে পড়ে মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীর ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছে। এ খবরে মেয়র প্রার্থীর বাড়ির এলাকা কাহারিয়াঘোনা থেকে শতাধিক কর্মী—সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে চিংড়ি চত্বর এলাকায় যান। আলমগীরের কর্মী—সমর্থকেরা সাংসদ জাফর আলম ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হকের (সাংসদের ভাতিজা) বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, সাংসদ হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে লাঠি হাতে নেতাকর্মীদের তাড়া করেন। তাঁর সঙ্গে থাকা হাসানুল ইসলাম ও জাহেদুল ইসলাম আওয়ামী লীগের জ্যৈষ্ঠ  নেতাদের গায়ে হাত তুলেন।

সাংসদের এমন আচরণ সম্পর্কে আলমগীর চৌধুরী বলেন, সাংসদের ভাতিজা জিয়াবুল হক ২১ জুন নির্বাচনে মেয়র পদে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তা ছাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া জাহেদুল ইসলাম সাংসদের অনুসারী। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ও জাহেদুলকে অব্যাহতির খবরে সাংসদ এমন আচরণ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতি প্রাপ্ত সভাপতি জাফর আলম বলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানির জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন ছেলে আমার গাড়ির গতিরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে। এমন সময় আমি একটি লাঠি হাতে গাড়ি থেকে বের হয়ে এক ছেলেকে আঘাত করতেই অন্যান্য ছেলেরা পালিয়ে যায়। তখন আমি গাড়িতে উঠে বাড়িতে চলে আসি। এখানে কারো সাথে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেনি। এই সকল অভিযোগ  অবাস্তব ও ভিত্তিহিন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০১ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩০ অপরাহ্ণ
  • ১৮:২৬ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!