পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃঅপরাধী যেই হোক তাকে আইনের সম্মুখ হতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্যে আমরা ভাল থাকি, সামাজকে ভাল রাখি। যারা অন্ধকার পথে আছে তাঁদের ধরিয়ে দিন। ওইসব অপরাধীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করবেন বলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন, র্যাব -৭ (চট্টগ্রাম) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মশিউর রহমান।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (চট্টগ্রাম) র্যাব-৭ মহাপরিচালক র্যাব ফোর্সেস এর পক্ষ থেকে মহেশখালী-কুতুবদিয়া-বাঁশখালী, চকরিয়া ও পেকুয়া অঞ্চলের আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের ঈদ শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন । সোমবার (১০মে) দুপুরে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলী কলেজ ছাত্রাবাসের একটি হলরোমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আসা জলদস্যুদের পরিবারের মাঝে ওই উপহার তুলে দেওয়া হয়। জলদস্যুদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনার মধ্যস্থতাকারী সাংবাদিক মীর মোহাম্মদ আকরাম হোছাইনের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার
তফিকুল আলম, পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুর রহমান মজুমদার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। ওইদিন উপকূলীয় এলাকা মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, চকরিয়া ও পেকুয়া’র আত্মসমর্পণকারী ৭৭জন পরিবারের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, নগদ টাকা ও ঈদ উপহার সমগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদের মধ্যে মহেশখালী ৫০টি, কুতুবদিয়া ১০টি, বাঁশখালী১১টি, পেকুয়ায় ৫টি ও চকরিয়ায় ১টি পরিবারে মাঝে এসব উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মশিউর রহমান। এসব উপহার সমগ্রী পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে পড়েছেন উপকারভোগী আত্মসমর্পনকারী জলদস্যু পরিবার। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা । আত্মসমর্পণকারী আসমত আলীর ছেলে সেলিম বাদশার স্ত্রী পারভিন আকতার (মহেশখালী), নাসিমের ছেলে বাদল (মহেশখালী), মিজানুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত আরা (কুতুবদিয়া), শফিকুর রহমানের ছেলে আমির হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (পেকুয়া) এই প্রতিবেদককে জানান, পবিত্র রমজান মাসে ঈদ উপলক্ষে এই উপহারগুলো আমারদের পরিবারের জন্য অনেক বড় উপহার।