পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃপেকুয়ায় জাতীয় শ্রমিকলীগ সদর ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদী হাসান মোর্শেদের মাছ চাষের পুকুর নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সভাপতির ভোগ দখলীয় ৩৯ শতক আয়তনের পুকুরটি জবর দখলের পায়তারা চলছে। এতে করে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা আঁধাখালী গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়াকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে উভয়পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের মারপিট ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।পুকুরটি কেড়ে নিতে একটি চক্র ভাড়াটে লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্র স্বস্ত্রসহ পুকুরে হানা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ভাড়াটে লোকজনকে বাধা দিয়েছে।শনিবার(০৮ এপ্রিল) সকালে আধাঁখালীতে এ ঘটনা ঘটে। পুকুরের মালিকের নাম মেহেদী হাসান মোর্শেদ। তিনি ছড়াপাড়ার মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র ও জাতীয় শ্রমিকলীগ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সভাপতি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ৩৯ শতক জায়গা নিয়ে শ্রমিকলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোর্শেদ ও আঁধাখালীর মৃত লাল মিয়ার পুত্র মৌলভী আবদুল কাদেরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই জমি মেহেদী হাসান মোর্শেদের পৈত্রিক সুত্র প্রাপ্ত অংশ। প্রায় ২শ বছর আগে থেকে ওই জমি মেহেদী হাসান মোর্শেদ গং পূর্ব পুরুষ সময় থেকে ভোগ করছিলেন। গত কয়েক মাস আগে মোর্শেদ ৩৯ শতক জমিতে মাটি খনন করেন। মাছ চাষের জন্য তিনি পুকুর খনন করেছেন। সুত্র জানায়, ঘটনার দিন সকালে মৌলভী আবদুল কাদের ভাড়াটে লোকজন নিয়ে সেখানে যান। এ সময় দেশীয় তৈরী ধারালো দা, কিরিচ ও লাঠি সোটা নিয়ে উত্তেজিত লোকজন মোর্শেদের পুকুরটি জবর দখল চেষ্টা চালায়।
এ ব্যাপারে জাতীয় শ্রমিকলীগ সদর ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদী হাসান মোর্শেদ জানান, এ জমি আমাদের পূর্ব পুরুষের। শুনেছি আংশিক জায়গা ভূলে বিএস রেকর্ড হয়েছে। আমরা রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেছি। ১৯৮৩ সালে ওই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। জায়গা বিক্রি ও হস্তান্তরের উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমাদের দালিলিক জায়গা খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় আমরা রেকর্ড এর বিপক্ষে দেওয়ানী মামলা করেছি। রাষ্ট্রপক্ষকে বিবাদী করেছি। কিন্তু জামায়াত নেতা মৌলভী আবদুল কাদের তালেবানী স্টাইলে আমার জায়গাটি জবর দখল প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে আমার জায়গার উপর মহড়া দিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ দেব।