শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
থানচিতে কেএনএফ সতর্কতায় বিজিবি’র গণসংযোগ বান্দরবান ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফের আরও ৫ জন রিমান্ডে নাজুক পরিস্থিতিতে ভুগছে থানচির পর্যটন কেন্দ্র গুলো বান্দরবান থানচি ব্যাংক ডাকাতির মামলায় কেএনএফ সদস্য ও সহযোগী রিমান্ডে  নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবির মহাপরিচালক দুর্গম ধুপানিছড়া যৌথ বাহিনী অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৯জন আটক বান্দরবান কেএনএফের আরও ৪ সদস্য কারাগারে নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালন বান্দরবান যৌথবাহিনীর অভিযানে এক নারীসহ কেএনএফ এর আরো ৩জন গ্রেফতার আরো ১জন কেএনএফ সহযোগীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

বিআরটিএ-তে লাইসেন্স-ফিটনেস সনদ আবেদনের ধুম

বঙ্গদর্পন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৮
  • ৩৪৪০ জন নিউজটি পড়েছেন

ঢাকা: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মাত্র পাঁচ দিনে দেখিয়ে দিয়েছেন চাইলে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতে পারে। ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে তারা প্রমাণ করেছে পুলিশ চায় না তাই হয় না। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) ধুম পড়েছে লাইসেন্স-ফিটনেস সনদের জন্য। পুলিশ না পারলেও শিক্ষার্থীরা ঠিকই টনক নড়িয়েছে সবার।

লাইসেন্সবিহীন চালক ও গাড়ি সড়কে নয়, ছাত্রদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভিড় বেড়েছে বিআরটিএ-তে। সংস্থাটি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন শুরুর পর থেকেই ভিড় বেড়েছে। আর গত দু’তিন দিনে প্রতিদিন লাইসেন্সসহ বিভিন্ন বৈধ ডকুমেন্ট তৈরির আবেদন বেড়েছে দ্বিগুণ।

সরেজমিনে বিআরটিএ সার্কেল-১ কার্যালয়, মিরপুরে গিয়ে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। গাড়ি আর লোকজনের সমাগমে স্বস্তিতে দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। প্রাইভেটকারের লাইনের লেজ গিয়ে ঠেকেছে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের সামনে। আর ভেতরে মোটরসাইকেলসহ অন্য গাড়ির জন্য চলাচল করাই কষ্টসাধ্য।

কাউন্টারে ভিড়আগতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাইভেটকারের বেশির ভাগই এসেছে ফিটনেস সার্টিফিকেট আর মালিকানা পরিবর্তনের জন্য। অনেকেই এসেছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, কেউবা ডিজিটাল নম্বর প্লেট, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্ড করতে। অনেকেই এসেছেন লার্নার কার্ডের জন্য। প্রতিটি বুথেই ভিড় লক্ষ্যণীয়। সকাল থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কাজ সারছেন আগতরা। হঠাৎ বাড়তি লোকের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিআরটিএ।

সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা স্পেশাল ড্রাইভ দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরুর পর থেকে আমাদের পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। সব মিলিয়ে গত তিনদিনে ব্যাপক আবেদন পড়ছে।

বিআরটিএ কর্মকর্তাসহকারী পরিচালক আলী আহসান মিলন বলেন, আগে প্রতিদিন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য গড়ে ১১০টির মতো আবেদন পড়তো। এখন প্রতিদিন পড়ছে ২৩০টির মতো। নবায়নের জন্য আগে ৫০টি আবেদন পড়তো, এখন পড়ছে ৯০টির বেশি। ফিটনেস সনদ নিতে আগে প্রতিদিন আবেদন পড়তো ৯শ। এখন পড়ছে ১ হাজার ৪শ।

এছাড়া মালিকানা পরিবর্তন, ডিজিটাল নম্বর প্লেট, ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি কাজেও আবেদন বেড়েছে। এটি একটি বিরাট সাফল্য। তবে এই চাপ সামলানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল নেই। আগের লোকবল দিয়ে সব সামলানো হচ্ছে।

এটাকে সাফল্য দেখলেও বিআরটিএ ভোগান্তির অপর নাম- এমনটাই বলছেন আগতরা। তাদের বক্তব্য, এখানে কোনো কাজই সময়মতো হয় না। ছোটখাটো ভুল বা তুচ্ছ কারণে দিনের পর দিন এখানে ঘুরতে হয়। মূলত এসব কারণেই অনেকেই বৈধ কাগজপত্র করতে চান না।

ভ্রাম্যমাণ আদালত, ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা সত্ত্বেও সড়কে শৃঙ্খলা না আসার পেছনে বিআরটিএ’র এই কর্মকর্তা জনসাধারণের ইচ্ছার ঘাটতিকেই দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, যিনি গাড়ি চালান দায়িত্বটা তার নিজের। তিনি নিজে শৃঙ্খলা না রাখলে আসলে আইন দিয়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা দুরূহ।

শিক্ষার্থীরা চলমান আন্দোলনে জনসাধারণের সঙ্গে বাজে আচরণ না করেও যে শৃঙ্খলা রক্ষা করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছে। গত সাতদিনে প্রায় সবাই গাড়ি নিয়ে বেরুলে সঙ্গে রেখেছেন বৈধ কাগজপত্র। কেউ বৈধ কাগজ না রাখায় তাদের কাছে লজ্জায় পড়ে পরের দিন আর কাগজ ছাড়া বের হননি, এমন নজির রয়েছে অনেক।

গত কয়েকদিনে ছাত্ররা ট্রাফিক পুলিশ তার গাড়ির কাগজ না রাখায় তাকে মামলা দিতে বাধ্য করেছেন। উল্টোপথযাত্রী মন্ত্রীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। গাড়ি আটকে থানায় দিয়েছেন। তাদের এমন কর্মযজ্ঞে সবার মানসপটেই এক শৃঙ্খলার রূপরেখার উদয় হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার তো বলেই দিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের নৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছে দিয়েছে। তাই ঘোষণা করা হয়েছে ট্রাফিক সপ্তাহও।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ১৮:২৮ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!