আকাশ মারমা মংসিং >>
পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, যারা আগত পর্যটক রয়েছেন তারা যাতে বুঝতে পারে বান্দরবানে পর্যটন আকর্ষণ কতটুকু। তাছাড়া এই জেলাকে পর্যটকবান্ধব করার জন্য সরকার ঘোষিত সম্প্রীতি বান্দরবানকে এগিয়ে নেওয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া ‘পর্যটকদের কাছে আকৃষ্ট করে তুলতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সবকিছু করা হয়েছে।
বুধবার( ২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ব পর্যটন দিবসে প্রধান অতিথি থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যাতে করে এই জেলায় আবারো পর্যটক আগমন ঘটে। তাছাড়া এই জেলায় পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের যে মুখর পরিবেশ সেটি যেন আবারো তৈরী হয় সেদিকে আমরা এগোচ্ছি।
এর আগে বঙ্গবন্ধু পর্যটনের পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ” এই প্রতিপাদ্যকে রেখে মুক্তমঞ্চে সামনে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্বোধন করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পরে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। অংশ নেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়েরসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতারা।
এদিকে ভোরে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় মিনি ম্যারাথন দৌড়ের প্রতিযোগিতা। প্রায় ১১কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শহরে রাজার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন করেন ৫৪ জন ক্রীড়ামোদিরা ।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজীমী, ফায়ার সার্ভিস উপ- পরিচালক পুনচন্দ্র মুৎসুদ্দী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো, এমএম শাহনেওয়াজ, জেলা পরিষদের সদস্য সিয়ং খুমী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উচিংমং মারমা,হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।