উচ্চপ্রু মারমা, রাজস্থলী >>
রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা সদর গাইন্দ্যা ইউনিয়নে পোয়াইতু ও ম্রওয়া পাড়া বন্যার ধ্বসে যাওয়া ভাঙ্গা কালভার্ট সংস্কারের উদ্যেগ নিয়েছেন সচেতন মারমা নাগরিক সমাজ। সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে গত দুই দিন ধরে সেচ্ছাশ্রমে কাজ করে চলেছেন তারা।
জানা যায়, গত মাসে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের ঢলের পানিতে পাড়ার একমাত্র চলাচল সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় ভাঙ্গনসহ পাহাড় ধসের ঘটনায় গত এক মাস ধরে একেবারে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দৈনিক রাজস্থলী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ একে বাড়েই বিচ্ছিন্ন। দৈনিক পাড়ার শত শত লোকজন পায়ে হেঁটে দীর্ঘ সাত থেকে আট কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে উপজেলা সদরে বাজার সহ রাজস্থলী সরকারি কলেজ ও রাজস্থলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরাও।
এলাকাবাসীরা জানান, পাড়াবাসী দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সচেতন মারমা নাগরিক সমাজের প্রধান উপদেষ্টা সবুজ মারমা, সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সাইলুমং মারমা, উপদেষ্টা ক্যথুই মারমার উদ্যোগে এই কালভার্ট সংস্কারের কাজে উদ্যেগ নেওয়া হয়। এরপর গত দুই দিন ধরে সচেতন মারমা নাগরিক সমাজের সদস্যদের সাথে নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে মানুষ চলাচলের উপযোগী করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া রাস্তা ভাঙ্গন ও ধংসের বেশ কয়েকটি স্থানে এলাকার প্রায় ১২০ নারী পুরুষ মিলে সেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে।
ইউপি সদস্য থোয়াইউচিং মারমা বলেন, পাড়াটি থেকে রাজস্থলী উপজেলা সদর একে বাড়ে কাছে মাত্র ৭কিলোমিটার। গত মাসের প্রবল বর্ষণে যে হারে রাস্তাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা বড় ধরনের প্রকল্প গ্ৰহন করা ছাড়া সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানান।
অন্যদিকে, অনাবরত ভারী বৃষ্টিও থামছে না। থেমে থেমে বৃষ্টির হওয়াতেই পাড়ার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।এমন ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে উদ্যোগটি গ্ৰহন করায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সচেতন মারমা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গাইন্দ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, বলেন থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় রাস্তাটির সংস্কারের কাজ ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
রাজস্থলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ফজলুল করিম বলেন, রাস্তাটির চলমান কাজের ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাস্তাটি যানবাহন চলাচল উপযোগী করে তুলতে কাজ শুরু করবে বলে জানান।