আকাশ মারমা মংসিং >>
টানা সাত দিনের অতিবর্ষণে কারণের বান্দরবানের প্লাবিত হয়েছে সরকারী -বেসরকারী অফিস,বসতঘর । ক্ষতি হয়েছে ব্রিজ,কালভার্ট ও বিভিন্ন উজেলায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। টানা ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসে গেছে ৩শত কিলোমিটার সড়কের অংশ। যার ক্ষয়ক্ষতি পরিমান দাড়িয়েছে কয়েকশত কোটি টাকা। এছাড়াও পানির বন্যাতে তলিয়ে গেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (LGED) কার্যালয় ও নষ্ট হয়ে যায় অফিসের থাকা সরঞ্জামসহ মূল্যবান কাগজপত্র।
জানা গেছে, জেলায় টানা সাতদিন ভারী বৃষ্টিতে ভেঙ্গে গেছে খানসামা-বাঘমারা সড়ক, লামা-সুয়ালক সড়ক, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল সড়ক, থানচি-বলিপাড়া, রুমা-পলিকা পাড়া সড়ক, আলীকদম-দোছড়ি সড়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি-আলীকদম সড়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি-তুমব্রু ডিসি সড়ক, আজিজনগর সড়ক, ফাইতং সড়ক, কালাঘাটা-তাড়াছা সড়ক, রোয়াংছড়ি-কচ্ছপতলী সড়ক।তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন উপজেলার লামা- আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক। যা সংস্কার করতে অর্থ প্রয়োজন কোটি টাকা।
“ভয়াবহ বন্যাতে জেলায় মোট সড়ক রয়েছে ৯০০ কিলোমিটার। অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০০ কিলোমিটার সড়ক। যা সড়কগুলো বাস্তবায়ন করতে অর্থ প্রয়োজন ১শত ৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও অফিসের সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ মেরামত করতে আরো প্রয়োজন ২০ লক্ষ টাকার বেশী”– এলজিইডি অফিস সূত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (LGED) অধীনে কয়েকটি উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ সহ ব্রিজ ও কালভার্ট উন্নয়ন করা হয়েছিল। সেটি ভারী বৃষ্টিতে ধ্বসে গেছে সেসব উন্নয়ন মুলক সড়কের কাজ। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বেশির ভাগ স্থানে নিচের মাটি সরে গিয়ে ধসে গেছে। আবার কোন কোন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়ে রাস্তার অর্ধেক অংশ ভেঙে গেছে। আবার সড়ক মাঝখানে ধরে মোটা অংশের ফাটল। যা কারণে সড়কগুলো এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কগুলো দ্রুত মেরামত করা না গেলে যান চলাচলের ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
কালাঘাটা- তাছাড়া সড়ক
বান্দরবান স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের( LGED) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন, বান্দরবানে অতিবর্ষণে প্লাবিত হয়ে ও সড়কের মাটি সরে গিয়ে ৯০০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এসব সড়ক মেরামতে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সড়ক গুলো দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।