নিজস্ব প্রতিনিধি >>
টানা ভারী বর্ষনের কারনের থানচি উপজেলায় দুইটি ইউনিয়ন রেমাক্রী ও তিন্দুতে পর্যটকদের ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা দেয় উপজেলার প্রশাসন। সাঙ্গু নদীতে বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢল বেড়ে যাওয়ার ফলে স্থানীয় কিংবা দেশী বিদেশী পর্যটকদের এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। টানা আটদিন পর বন্যার পানি স্বাভাবিক হওয়াতেই করেছে থানচিতে পর্যটক ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৪ আগষ্ট) থানচিতে পর্যটকদের ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিষয়ে থানচি উপজেলার পরিষদ অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়- আগামী ১৫ আগষ্ট থেকে পর্যটকগন থানচি উপজেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন।তবে প্রশাসনের অনুমতি বিহীন স্থানে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫আগষ্ট) বিকালে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা: আবুল মুনসুর।
তিনি জানান, সাঙ্গু নদীতে বর্ষার পানি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় ও দেশী বিদেশী পর্যটকদের দুই ইউনিয়নের ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সাঙ্গু নদীর পানি স্বাভাবিক হওয়াতেই থানচিতে পর্যটক ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, গতবারের মতন থানচি হতে রেমাক্রী পর্যন্ত পর্যটকরা ভ্রমন করতে পারবেন। তবে প্রশাসনুযায়ী নাফাকুম, আমিয়াকুম, সাতভাই কুম সহ অনান্য পর্যটন স্পট ভ্রমনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে বান্দরবান – থানচি সড়ক যোগাযোগ এখন বিছিন্ন রয়েছে। চিম্বুক পোড়া পাড়া এলাকাতে ভারী বৃষ্টিতে প্রায় ১০ একর মতন সড়কের ধ্বসে পড়ে। এছাড়াও সড়ক জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ছোট খাটো খানা- খন্ড ও ধ্বসে পড়া মাটি। তবে বিকল্প হিসেবে পাহাড় কেটে সড়ক তৈরি করা হবে জানান সেনা সদস্যরা।
চিম্বুক সেনাবাহিনী ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনষ্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ জানান, সড়কের জুড়ে পাহাড়ের ধ্বসে পড়া মাটি চিম্বুক পোড়া পর্যন্ত অপসারণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমাদের দুইটি সেনা টিম এই মুহুর্তে রুমা ও থানচি সড়কের মাটি অপসারণের কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল থানচি সড়কে চিম্বুক পোড়া পাড়া এলাকায় সড়ক বিকল্প হিসেবে পাহাড় কাটিং করা হবে। এরপর সড়ক তৈরী করে দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।