নিজস্ব প্রতিনিধি >>
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের এই সর্বপ্রথম কলা গাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতা আর সেই সুতা তাঁতে বুনে তৈরি করা হয়েছে শাড়ি। কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতা দিয়ে বানানো এ শাড়ির নাম দেয়া হয়েছে ‘কলাবতী’। পর্যটন খ্যাতি পাশাপাশি আরো একটি কলাবতী শাড়ি যুক্ত হল বান্দরবানের। এর ফলে শুধু জেলা নয় দেশে- বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই শাড়ি সুনাম। এতে প্রসংশায় ভাসছে বান্দরবানে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। তবে এবার পার্বত্য জেলা বান্দরবানে “কলাবতী শাড়ি” নিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়িদের স্বাবলম্বী করে নারী পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছ্মিন পারভীন তিবরীজি। সেই প্রকল্পের আওতায় পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে সিলেটের মৌলভীবাজারের মনিপুরী প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবীকে আহ্ববান জানানো হয়। মৌলভীবাজারের মনিপুরী তাঁত শিল্পী রাধাবতী দেবী জেলা প্রশাসকের অনুরোধে বান্দরবানে এসে প্রথমবারের মতো কলা গাছের সুতা থেকে এ শাড়িটি বুনেছেন। তার তত্ত্বাবধানে ১৫ প্রচেষ্টায় প্রথম পর্যায়ে কলাগাছের তন্তু বা আঁশ থেকে সুতা তৈরি করেন। এই সুতা দিয়ে দেশের প্রথম কলা গাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতা আর সেই সুতা তাঁতে বুনে শাড়ি তৈরি করে তাগ লাগিয়েছেন মনিপুরী প্রশিক্ষক রাধাবতী দেবী। বান্দরবানে প্রথম উৎপাদিত হওয়াতে নতুন শাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলাবতী সুতি শাড়ি। অর্থাৎ রাধাবতী থেকে বতী ও কলা নামে সাথে মিল রেখে এই নাম তৈরী করা হয় “কলাবতী শাড়ি”। সর্বশেষ এ সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরির মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হলো।
এদিকে গতকাল স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যাবসায়ী সম্মেলন ঢাকা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক হলে প্রধান অতিথি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,পার্বত্য অঞ্চল সবসময় অবহেলিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে একই দিনে একশোটি সেতু ও রাস্তা উদ্বোধন করার এই সুযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। সেই অঞ্চলটি সম্পূর্ণভাবে অনুন্নত ছিল কিন্তু এখন আর অনুন্নত নাই। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর সেসব অঞ্চলে স্কুল ও কলেজ, ব্রিজ ও রাস্তাঘাট তৈরী করে উৎপাদিত ফল যাতে বাজারজাত করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি।
“বান্দরবান কলাবতী শাড়ির প্রশংসায় ভাসিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এই প্রথম কলা গাছের সুতা তৈরী করে সেই সুতো দিয়ে শাড়ি তৈরী করেছে। সেই শাড়িটি তৈরী হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। কবে সেই শাড়িটা আসবে আর আমাকে কবে উপহার দিবে। এই কাজটি তৈরী পর অনেক নারী আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। যেটি পার্বত্য এলাকায় এটি সর্বপ্রথম উদ্ভাবন”।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, ‘আমি আমার ব্যক্তিও কার্যক্রম চলমান থাকবে। কারণ এখানে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিভিন্ন নারী যুক্ত আছেন। গ্রাউস, ওয়ার্ল্ড ভিশনসহ বিভিন্ন এনজিও যুক্ত হয়েছে। তাছাড়া শুধু শাড়ি নয়, কলাগাছের সুতা থেকে প্লাস, ব্যাগ, পাপোস, জুতা, হাতব্যাগ, কলমদানি তৈরি করা হচ্ছে। ছেলেদের ছেলে পাঞ্জাবি, ফাতুয়া সহ ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র শৈল্পিক রূপ দিয়ে কীভাবে পরীক্ষা করা যায় পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে সুতা নম্বর হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে শাড়িটি কখন উপহার দিবেন সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কলাবতী শাড়িটি সম্পূর্ণ তৈরী হয়ে গেছে।এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকট এই শাড়িটি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হবে।