নিজস্ব প্রতিনিধি >>
বান্দরবানের আলীকদমে গরু চুরির ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে থানায়। গরু চুরির সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে লীকদম থানা পুলিশ।
বুধবার বিকালে ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সোনাইছড়ির বাসিন্দা মোঃ ইউনূস বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গরু চুরির ঘটনায় আসামীরা হলেন,লামা চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা ও লামা পৌরসভার মেয়রের চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান সাঈদ, লামা পৌরসভার কাউন্সিলরের ছেলে ও রাজবাড়ীর বাসিন্দা দৈনিক একাত্তর সংবাদ, মেট্রো বাংলা টিভির লামা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রাসেল, চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ নুরুল হোসাইনের ছেলে মোঃ বাদশা,মোঃ শহিদুল্লাহ’র ছেলে অমিত হাসান, ছাহেল আহমদের ছেলে মোঃ আব্দুল শফি,বাদশা মিয়ার ছেলে মো মিজান, লামা চেয়ারম্যান পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ সোওয়াবের ছেলে মোঃ নুরুল ইসলাম প্রকাশ আতিক,রেপারপাড়ার বাসিন্দা নুর হোসেন।
গরুচোর সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য মেট্রো বাংলা টিভি ও দৈনিক একাত্তর সংবাদ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলার ৫ নং ওয়ার্ড কমিশনারের ছেলে মোঃ রাসেল সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি,গরু চোর,অসংখ্য অবৈধ কাজে জড়িত আছে বলে এলাকাবাসীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদক কে তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় , গত ২৯ মে রাতে ইউসূচ মিয়া ও খাইরুল বশরের খামারবাড়ী থেকে গৃহপালিত ৪টি গরু চুরি করে গরু চোর সিন্ডিকেট । গরু চুরির বিষয়টি মঙ্গলবার থানায় মোঃ ইউনূসের মৌখিক অভিযোগ করলে ওসির নির্দেশনায় বুধবার ভোর রাতে এস আই মোঃ রেজোয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গরু চুরির ঘটনায় জড়িত রাসেলকে আটক করা হয়েছে। পরে রাসেলের তথ্যের ভিত্তিতে বাকী ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গরু চুরির ঘটনা জড়িত সাইদুর রহমান সাঈদ ও নুর হোসেন পলাতক আছেন। আটককৃতদের কাছ থেকে নগদ ৮৯ হাজার টাকা ও ৪ টি গরু উদ্ধার করেন আলীকদম থানা পুলিশ।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন সরকার বলেন, লামা থানার সহায়তায় গরু চুরিতে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। গরুর মালিক বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। চুরির ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে,পলাতক ২ জনকে আটকে অভিযোগ অব্যহত আছে।