ইসমাইলুল করিম, লামা >>
লামা উপজেলার রুপলী ইউনিয়ন ১নং সিলেরতুয়া এলাকায় যৌতুক না পেয়ে মরিয়ম বেগম (২৩) নামের এক স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আব্দুস সালাম বিরুদ্ধে। ঘটনার পর গৃহবধূ’কে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে সিলেরতুয়া এলাকায় স্বামী আব্দুস সালাম তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ১লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে। পরে তার স্ত্রী যৌতুক এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এসময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।
আহত গৃহবধূ মরিয়ম বেগম জানায়, তাদের বৈবাহিক জীবনের ১৫ বছর পার হয়েছে। তাদের দুটো মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে যৌতুকের টাকার আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।এক লক্ষ টাকা বাবার বাড়ি থেকে না দিলে অন্য মেয়ে’কে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিবাহ করে আমাকে তালাক দিয়ে দিবে বলে হুমকি দেন। আহত মরিয়ম বেগমের পরিবার বাদী হয়ে লামা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানান।
আহতের ভাই আব্দুল করিম বলেন, আমার বোন’কে যৌতুকের টাকার অজুহাতে দীর্ঘদিন সময় ধরে মারধর করে আসছিলেন স্বামী আব্দুস সালাম।
এব্যাপারে স্বামী আব্দুস সালামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্ত্রীকে মোবাইলে কথা বলতে দেখে কিছু প্রশ্ন করি। কিন্তু সে আমার সাথে সন্দেহমূলক খারাপ আচরণ করে। রাগে স্ত্রী গায়ে দুইটা থাপ্পড় দেওয়ার পর আমি রাগান্বিত হয়ে গরু নিয়ে পাহাড়ে চলে যায়।
তিনি বলেন, ঘটনার পর স্ত্রীর বাড়ির লোকজন এসে আমার ১ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীকে আমি মেরেছি আমি চিকিৎসা করব।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।