তুফান চাকমা, নানিয়ারচর >>
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাঙামাটিতে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে র্যালী ও বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে রাঙামাটি জেলা সহ ১০ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বুধবার (১৭ মে) দুপুর ২টায় জেলা পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে র্যালী শুরু করলে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পৌরসভা চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।
পরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিশাল সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মোঃ মুছা মাতব্বর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সহ-সভাপতি ও জেলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সহ-সভাপতি বৃষকেতু চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চেনু, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইসাইন চৌধুরী, নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব হাওলাদার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান রোমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোঃ কাজল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন।
বক্তব্যে তারা বলেন, আজকের এই দিনে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। দেশে ফিরার আগেই ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতিক্রমে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
দেশে ফিরেই আওয়ামী লীগের পূনর্গঠন ও পূনর্বাসনে নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ নেন তিনি। পাশাপাশি জনগণের গণতান্ত্রিক এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিরাম সংগ্রাম শুরু করেন। তারই উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সর্বস্থরের নেতাকর্মী সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দেয়। দেশবাসী ও উজ্জীবিত হয় নতুন প্রেরণায়।
বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই রাঙামাটিতে প্রতিবারের মতো ষড়যন্ত্র সৃষ্টি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম নই। কতিপয় ষড়যন্ত্র কারীরা দীপংকর তালুকদার এমপির বিরুদ্ধে ঢাকায় গিয়ে নানা কানাঘুষা করে চলেছে। কিন্তু রাঙামাটি বাসী এতোটা বোকা নই। অতীতেও ষড়যন্ত্র কারীদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেছে এবারও ষড়যন্ত্র কারীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। জননেতা দীপংকর তালুকদার এমপির নেতৃত্বে আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ শক্তিকে কেউ হাড়াতে পারেনা। যদি কোনক্রমেই এদিকওদিক হয় তাহলে রাঙামাটি বাসী রাজপথ থেকে প্রতিহত করবে।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্যবাসীর প্রতি আন্তরিক বিধায় আজকে আমরা উন্নয়ন করতে পারছি এবং শান্তি সম্প্রতি উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে পারছি। রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ, ব্রিজ, রাস্তা, বিদ্যুৎ, স্কল-কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। অতিতে কোন সরকারের আমলে এমন উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে হয়না। ভবিষ্যতে এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও সমাবেশ সফল করার জন্য দূর-দূরান্তর থেকে হাজারো লোকের সমাগম হওয়াই সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছেন বলেই গণতন্ত্রকে আবারো পুনরুদ্ধার হয়েছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট পরিবারের সবাইকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন দেশে আসলেন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়িতে ঢুকতে গেলে তখনও খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান তাকে ঢুকতে দেয়নি। ১৫ আগস্ট যখন একবুক ব্যাথা নিয়ে শেখ হাসিনা তার পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করেন ঠিক তখন বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট ভূয়া জন্মদিন পালন করে জনগনকে ধোকা দেয়। যা জাতি হিসেবে অত্যন্ত লজ্জাজনক।
এসময় তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল সোনার বাংলাদেশে রুপান্তর করে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড় করার আশা ব্যক্ত করেন।