আকাশ মারমা মংসিং >>
বান্দরবান সদর উপজেলায় দরিদ্র চাষিনী ডমে প্রু মারমা (৪৫) ৬০ শতক জমি পাকার বোরো ধান কেটে ঘরে পৌছে দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৪মে) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা সদর উপজেলার জামছড়ি গ্রামে এলাকার এক কিষাণী ৬০ শতাংশ জমির ধান কাটেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অংছাই উ মারমা পুলুর নেতৃত্বে ধানগুলো কাটা হয়।
এছাড়াও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, বান্দরবান সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মেহাই নু মারমা, বান্দরবান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.ইমরান, আহ্বায়ক টিপু দাশ, রোয়াংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মংটিং ওয়াই মারমাসহ অনান্য নেতাকর্মীরা ধান কাটার অংশগ্রহন করেন।
ধান কেটে ঘরে পৌছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, জমির ধান পেকে আছে, অথচ কিষাণী শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছিলেন না। এমন সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নির্দেশে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অংছাই উ মারমা পুলু নেতৃত্বে সদর উপজেলার জামছড়ি গ্রামে এলাকার কিষাণী ডমেপ্রু মারমা ৬০ শতাংশ জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে খুশি ঐ কিষাণী।
কিষাণী ড মে প্রু মারমা(৪৫) বলেন, অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে পরিবারের ভরণ পোষনের পাশাপাশি সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছি। অর্থের কারণের পাকাঁ ধান কাটতে হিমসিম হচ্ছিল। একন সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন যুবক এসে আমার ৬০ শতক জমির পাকাঁ ধান কেটে বাড়ির পর্যন্ত তুলে দিয়েছে। তাদের এই সহায়তা পেয়ে আমি খুব আনন্দিত।
পাকাঁ ধান কাটতে ব্যস্ততা সময় পাড় করছেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ছাত্রলীগের সভাপতি অংছাই উ মারমা পুলু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি নির্দেশনায় আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা কাঁচি হাতে নিয়ে কৃষকের পাকাঁ ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছি । দরিদ্র কৃষকের যেকোনো সংকটে আমরা কাজ করে যাব। এ প্রতিশ্রুতি নিয়েই এলাকার অসহায় দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছি। এ দুঃসময়ে আমাদের উচিৎ কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, পার্বত্য মন্ত্রী নির্দেশ রয়েছে দেশের সব জেলায় গরিব ও অসহায় কৃষকের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ধান কেটে দিয়েছি। এতে কৃষকের সম্মতি ছিল। তিনি আমাদের কাজে খুশি হয়েছেন, এতেই আমাদের তৃপ্তি।