ইসমাইলুল করিম, লামা
লামায় ফাইতং দিদারুল আলম (৪০) নামে এক ব্যাক্তি বিরুদ্ধে কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শিশু কন্যা মা বাদী হয়ে লামা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
(১৮ মার্চ) শনিবার সকালে ফাইতং ৫নং ওয়ার্ডের আমতলী পাড়া দোকানে এই ঘটনাটি হয়।
ধর্ষকব্যাক্তি- মো.দিদারুল আলম (৪০), সে ফাইতং ৪নং ওয়ার্ডের খেদারবান এলাকার মৃত মাহবুবুল আলম ফকির ছেলে তিনি একজন টমটম চালক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাদী জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন করলে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শামিম শেখ নেতৃত্বে পুলিশের টিম অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার মাঠে নামে। ঘটনার ৪ঘন্টা না পেরুতে ফাঁড়ি পুলিশের এএস আই মাসুদ রানা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষককে ভাঙ্গাব্রীজ এলাকা থেকে আটক করে লামা থানায় নিয়ে আসে।
এজাহার সুত্রে জানাযায়, বাদীর বাড়ি সংলগ্ন একটি মুদির দোকানে পাশে ভিকটিম মেয়ে’কে দোকানে বসিয়ে আমি ভাঙ্গা ব্রিজ নামক জায়গায় যায়। বেলা দিকে আমার ভাইয়ের স্ত্রী মাহামুদা বেগম আমাকে ফোন করে জানায় যে, আমার মেয়ে ভিকটিম’কে দোকানে একা পেয়ে বিবাদী দিদারুল আলম জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে বিবাদী আমার মেয়ে ভিকটিম এর হাত ধরে টেনে কোলের উপর বসায় এবং বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করে। আমার মেয়েকে ছাড়ার জন্য বললে বিবাদী জোর করে চেপে ধরে টানা হেচঁড়া করে গায়ের জামা ছিড়ে ফেলে। এক পর্যায়ে আমার মেয়ের গোপন অংঙ্গে হাত দিয়া ধর্ষণের উদ্দেশ্যে চাপতে থাকে।
ভিকটিম মা জানান, আমার মেয়ে কান্নাকাটি করিতে থাকিলে এবং স্থানীয় লোকজন আসতে দেখে বিবাদী ভিকটিম’কে ছেড়ে টমটম দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আমি আমার মেয়ে মুখে উক্ত ঘটনা শুনে জরুরী সেবা ৯৯৯ এর ফোন করিলে ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি হইতে পুলিশ এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় এবং অভিযান পরিচালনা করিয়া বিবাদী’কে আটক করেন।
লামা ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই শামীম শেখ জানান, আসামীর বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের মামলা থানায় রুজুর প্রক্রিয়াধীন । আটককৃত আসামীকে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।