প্রতিনিধি নাইক্ষ্যংছড়ি>>
রামু উপজেলা গর্জনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২১ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় আয়াত উল্লাহ (১৪) নামের এক পথ শিশু গুরুত্বর আহত হন
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় এ অগ্নিকান্ডে এসব দোকান পুড়ে গেছে।
অন্যদিকে এ অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা মালামালসহ প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান শুকমুনিয়া হোটল থেকে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তেই আগুনের লিলা শিখা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। তাক্ষনিক বাজার ব্যবসায়ীদের সমিতির দমকল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। খবর পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিস এর দমকল কর্মীরা ভোর ৪ টা ৪০ মিনিটর দিকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। ভোর ৬ টায় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশ ও জনতার সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে বাজারের ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, আহত পথ শিশুটি বাবুর দোকানের সামনে ঘুমন্ত অবস্থায় তার গায়ে আগুনে পুড়ে যাওয়ার সময় দৌড়ে গিয়ে রক্ষা পেলেও তার অবস্থা সংকটাপন্ন। সে গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি গ্রামের মৃত আবু হান্নানের ছেলে বলে জানা যায়।
তবে সে মানসিক প্রতিবন্ধী তাকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানা যায়।
গর্জনিয়া পুলিশের আইসি মাসুদ রানা জানান, আগুনে এক পথ শিশু আহত হয়েছে এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এক দমকলকর্মীসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে।
এদিকে ভোর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রেজাউল করিম,রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) অরূপ কুমার।
উল্লেখ্য বিগত ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ বাজারটিতে অগ্নিকাণ্ডে ফিরোজ আহমদ সওদাগর ও তার কর্মচারী আনোয়ার হোসেন নিহত হয়।