নিজস্ব প্রতিবেদক>>
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০০০ শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩’ গ্রান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতা। বিতর্কের বিষয় ছিল “সফলতা অর্জনের জন্য দরিদ্রতা বড় অন্তরায় নয়”। এতে অংশ নেয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাঙ্গামাটির মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে রাঙ্গামাটির মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন বিজয়ী দলের দলনেতা সুজাতা চাকমা।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও বিএফডিসি ৮ নম্বর ফ্লোরে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত ‘পার্বত্য বিতর্ক উৎসব ২০২৩’ গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় পার্বত্য মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর সুদীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে শোষণ বঞ্চনার শিকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নানাভাবে অবদান রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতিসহ কোন দিকেই এখন আর পার্বত্য অঞ্চল পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা বিকাশে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চল দেশের জন্য এক বিশাল সম্পদে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ’র সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় এতে প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট এন্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পরিচালক সাফি রহমান খান ও ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন বক্তব্য রাখেন। প্রতিযোগিতায় বিচারক মন্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন ৭১ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয়, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও সিটি এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক আবুল খায়ের, ডিবিসি টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাত জাহান উর্মী, লেখক, বিতর্ক সংগঠক ও নাট্যকার অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস এবং চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক নীল মাহবুব প্রমূখ।
মন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত ফেলে রাখা হবে না। উৎপাদনের দিক দিয়ে কৃষিক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন এনে দিবে বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তনের এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষেরা। কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সেচনালা, পাওয়ার পাম্প, পাওয়ার টিলার, ধান মারাই মেশিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রমাণ করে দেব পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য একটা সম্পদ।