আকাশ মারমা মংসিং>>
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে লীলাভূমি বান্দরবান।পর্যটন খ্যাত ‘পাহাড়ী কণ্যা’ বান্দরবানে এই সৌন্দর্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসেন। এবারেও দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি আর খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের বড়দিন মিলে তিনদিন সরকারি ছুটিতে পাহাড়ের প্রকৃতি আর এখানকার বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠী ও তাদের জীবনযাত্রা দেখতে ভিড়ে মুখর হয়ে উঠেছে পর্যটন নগরী বান্দরবান।
জানা গেছে, প্রতিবছর বেশিরভাগ শীত মৌসুমে জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, তমাতুঙ্গীসহ সবগুলো দর্শনীয় স্থানে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় থাকে। কিন্তু পাহাড়ে বিশেষ অভিযানের কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চলতি বছরে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক আসেনি এসব স্থানে।
এদিকে এতদিন পর আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এখানকার হোটেল-মোটেল-রিসোর্টের মালিকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও হোটেল মোটেল গুলো বুকিং রয়েছে ৯০ শতাংশ।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, নগরী জীবনের ব্যস্ততা ভুলে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পর্যটকরা চাঁদের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। জেলার মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, নীলদিগন্ত ও তমাতুঙ্গীসহ সবগুলো দর্শনীয় স্থান এখন ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। সময় নিয়ে কেউ-বা ছুটে যাচ্ছেন ঝরনার সৌন্দর্য দেখতে, কেউ-বা ছুটে যাচ্ছে সুউচ্চ পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা আকিব হোসেন বলেন, তিনদিন টানা ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাহাড়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এত সুন্দর আর তা সম্পর্কে পরিবারকে ধারণা দিতে পেরে অনেক খুশি হয়েছি।
ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থী আঁখি বলেন, সকাল সকাল কনকনে শীতে পর্যটন স্পট নীলগিরি যাওয়ার পথে আঁকাবাঁকা সড়কের চারদিকে ঘন কুয়াশার চাদরে পাহাড়। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। এরকম মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পেরে মন ভরে গেছে।
জীপ ও মাইক্রোবাস টিকেট কাউন্টার কামাল জানান, টানা তিনদিন পর্যকদের আগমন হওয়াতেই চান্দের গাড়ি দিনে ৩শত উপরে চলাচল করছে। পর্যটকরা চান্দের গাড়ি পছন্দ হওয়াতেই ষ্টেশন ছেড়ে বিভিন্ন পর্যটক কেন্দ্রে ঘুরছে।
বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, টানা তিনদিনের ছুটি উপলক্ষে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এরূপ পর্যটকের আগমন থাকলে পূর্বের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবে। আর টানা পর্যটক আগমন হওয়াতেই হোটেল মোটেল ৯০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।
বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের এএসআই আব্দুর শুকুর বলেন, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল স্পটে সাদা পোষাকেও পুলিশ নিয়োজিত আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।