নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা>>
মিয়ানমারের বাহিনীর গুলিবর্ষণ, আর্টিলারি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগীতা করে উখিয়ার কুতুপালং কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসান ও পুলিশ।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মর্টার শেলে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের মো: ইকবাল নামের এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হওয়ার পর শুক্রবার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে উখিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হন। সেখান থেকে বাসে করে উখিয়ার কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসান। উখিয়ার কুতুপালং কেন্দ্রে সহজে আসা–যাওয়ার জন্য কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা থেকে কুতুপালং পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়ক যানজটমুক্ত রাখা হয়। আজ বেলা ১১টায় শুরু হয় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুমধুম কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের বসার জায়গা নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে এসএসসি কেন্দ্র সরিয়ে আনা হয়েছে।
মুঠোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন উখিয়া থানা পুলিশ ও ককসবাজার জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা পরীক্ষার্থীদের যতাসময়ে উখিয়া কুতুপালং কেন্দ্রে পৌছানোর জন্য সব ধরণের সহযোগীতা করেছেন।
ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর বলেন, শুক্রবার রাতেই তারা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে ঘুমধুম থেকে কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে চলে এসেছেন। সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঘুমধুম কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯৯।