মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১১:০৫ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪ দিন বন্ধ ঘোষণা প্রতিটি পাহাড়ে জুমে বীজ বপনের উৎসব শুরু:ব্যস্ততা পাড় করছেন জুমিয়ারা বান্দরবানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে- ক্যশৈহ্লা সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত সীমান্তে কেএনএফ পুতে রাখা আইইডি বোমা বিস্ফোরনে এক যুবক নিহত  বান্দরবান -রাঙ্গামাটি সীমান্তে কেএনএফ ও সেনাবন্দুক যুদ্ধে নিহত ২ আহত ২ রাঙ্গামাটিতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাবে রূপ হারাচ্ছে সাঙ্গু নদী  পাহাড়ের পানি সংকট স্থায়ী নিরসনের জন্য শুরু হবে বাঁধ নির্মান কোন ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান

অতি তীব্র দাবদাহ; স্বপ্ন পুড়ছে আমন চাষিদের

পাহাড় কণ্ঠ প্রতিবেদক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২
  • ৪১৮ জন নিউজটি পড়েছেন

ইসমাইলুল করিম, লামা সংবাদদাতা>>

ঋতু অনুযায়ী আগস্ট মাস বর্ষাকাল। সাধারণত বাংলাদেশে এই মাসে অন্যসময়ের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। কৃষকরা এই বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করেন।

কিন্তু এবার সেই অনুপাতে বৃষ্টি না হওয়ায় দেশের শস্যভাণ্ডার খ্যাত বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড থেকে ৯নং ওয়ার্ড পর্যন্ত বিভিন্ন বিলে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। এতে জমি ফেটে চৌচির হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে চারা। ফলে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে আমন চাষিদের স্বপ্ন।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সরেজমিনে ইসমাইলুল করিমের প্রতিবেদন উঠে এসেছে ফাইতং ইউনিয়ন বিভিন্ন বিলের কোথাও কোন পানি নেই। এমনকি যেসব কূপে পানি জমে থাকতো সেগুলোও শুকিয়ে গেছে। ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের চোখেমুখে হতাশার আবরণ।

সাধারণত জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে বীজতলায় বীজ বোনা হয়, শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে জমিতে রোপণ করা হয়। কৃষকরাও বর্ষার বৃষ্টির আশায় বসে থাকেন। যাতে বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ সহজে করা যায়। কিন্তু এবার আষাঢ় মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পানির অভাবে ফাইতং বিলের জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে, লালচে হয়ে আসছে সদ্য রোপণ করা ধানের চারা।

খেদারবান বিলের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়। কিন্তু এ বছর চাহিদা অনুযায়ী বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতেও বাঁচানো যাচ্ছে না ফসল। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

হাশেম উল্লাহ নামে স্থানীয় আরেক কৃষক জানান, ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হওয়ায় জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। শ্যালো মেশিন কিংবা বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে রোপা আমন আবাদ উপযোগী নয়। বৃষ্টির পানিতে রোপা আমন চাষ ভালো হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন বলেন , উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ মোট ২৮৫০ হে. জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। বর্তমান প্রাকৃতিক কারনে বৃষ্টি কম হওয়ায় জমিতে সম্পুরক সেচ প্রদানের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। বীজতলা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ইতোমধ্যে পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

তিনি আরো বলেন, জমিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে সম্পূরক সেচ দেয়ার জন্য। ফাটল হওয়া সেসব জমিতে পাম্পের মাধ্যমে পানি দিতে বলা হয়েছে। ও কৃষকদের চাষের জমি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আর নিউজ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৪৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ২০:১২ অপরাহ্ণ
  • ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
© All rights reserved ©paharkantho.com-২০১৭-২০২১
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!