অংবাচিং মারমা রুমা
বান্দরবান রুমা উপজেলায় গ্রামীণ দু:স্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বাস্তবায়িত একটি অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা মূলক কর্মসূচি আওতায় চার ইউনিয়নের ১৫ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা হস্তমজুদ ভিজিডি টাকা সঞ্চয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের সূত্র ধরে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুসন্ধানে জানা গেছে,চলতি বছরের ২০২২ জানুয়ারি মাস হতে জুন মাস পযর্ন্ত টানা হস্তমজুদ রেখে নিজ স্বার্থে বিভিন্ন খাতে পুজিঁ খাটিয়ে খরচ করে চলছে।যাহা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার করে চলছে চার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
ভিজিডি টাকা সঞ্চয়ে ২নং রুমা সদর ইউনিয়নের রাষ্ট্রের কোষাগারে জমাদানের বকেয়া টাকা ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৮শত টাকা, পাইন্দু ইউনিয়নের ৫লক্ষ ৫২ হাজার ৮শত টাকা, রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪শত টাকা এবং ৪নং গালেংঙ্গ্যা ইউনিয়নের ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা হস্তমজুদ রয়েছে। সর্বমোট চার ইউনিয়নের ১৫ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা হস্তমজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভিজিডি সঞ্চয় বাবদ উত্তোলনকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ হস্তমজুদ বিষয়ে জানতে চাইলে,২নং রুমা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শৈমং মারমা বলেন,চলতি আগষ্ট মাসে ১৫ মধ্যে বকেয়া টাকা জমা দিয়ে দিবো।
পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন,আমি খুব শিগগিরই জমা দিবো এটা জনগণের টাকা কোন মতেই আটকিয়ে রাখা সুযোগ নেই।আর আমার চলতি মাসে ভিজিডি কর্মসূচির চাউল খুবই খারাপ তা জনগণ নিতে চাচ্ছে না।
রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিরা বম বলেন, ইউনিয়ন পযার্য়ে খেলাধুলা, দুগর্ম এলাকার রোগীসহ বিভিন্ন খাতে খরচ করে ফেলেছি খুব শিগগিরই জমা দেয়ার চেষ্টা করছি।
গালেংঙ্গ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেনরত ম্রোকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পেয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী’রা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমাদের সঞ্চয়ের টাকা নির্দিষ্ট সময়ের জমা না দিয়ে চেয়ারম্যানরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী’রা।
এ অনিয়মের বিষয়ে রুমা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইনচার্জ খালেদ রওজান খান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপকার ভোগীরা দুগর্ম এলাকা হওয়ার কারনে প্রতি মাসের চাউল উত্তোলন করে না।আর যারা চাউল উত্তোলন করেছেন তাদের সঞ্চয়ের টাকাগুলো আমাদের অফিসের জমা প্রদান করে না।
তিনি আরো জানান, প্রতি মাসিক সভা মধ্যে ঐ সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আমরা চার ইউনিয়ন’র চেয়ারম্যানদের নিয়ে অবহতি সভা করেছি।গেল দুই বছর প্রতি মাসের সঞ্চয় টাকা গুলো জমা প্রদান না করার ক্ষেত্রে উপকারভোগীরা সঞ্চয় টাকা সুদ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে।
এবিষয়ে রুমা নিবার্হী কর্মর্কতা মোহাম্মদ মামুন শিবলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের দুই সপ্তাহের মধ্যে হস্তমজুদে রাখা টাকা গুলো জমা দিতে বলেছি। যদি এর ব্যতিক্রম হয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্তা নেওয়া হবে।