অনলাইন ডেস্ক>>
বছর ঘুরে আবার এলো শোকের মাস আগস্ট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। শোকের মাস এই বেদনাদায়ক ঘটনাকে ঘিরেই।
আগস্টের শোকাবহ এই ঘটনা জাতিকে পিছিয়ে দিয়েছে। তেমনি বেদনার্ত করেছে কোটি মানুষকে।
২০০৪ সালের এই আগস্ট মাসেই জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ভয়াবহ ও ঘৃণ্য এই হামলায় ঝরে যায় বহু প্রাণ।
আবার ২০০৫ সালে এ মাসেরই ১৭ তারিখে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
জাতির পিতাকে হারানোর দিন ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস হিসেবে। মাসজুড়ে শোকের কর্মসূচি পালন করে জাতির পিতার দল আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২১ বছর বাঙালি জাতিকে বহন করতে হয়েছে বিচারহীনতার কলঙ্ক। ১৯৯৬ সালে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। এর মধ্য দিয়ে কলঙ্কমুক্ত হয় বাঙালি জাতি।
শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক। বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। বাঙালি জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকের ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন।
।