বিনোদন ডেস্ক>>
সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত করার জন্য র্যাবের যে দীর্ঘদিনের অভিযান, সেই অভিযান নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা অপারেশন সুন্দরবন। সিনেমাটির ট্রেইলার প্রকাশ হয়েছে ২৯ জুলাই।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের লাবনী বিচে অনুষ্ঠিত ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২৩ সেপ্টেম্বর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র্যাব ফোর্সেসের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম।
আরও ছিলেন সিনেমাটির পরিচালক দীপংকর দীপনসহ এর শিল্পী কলাকুশলীরা।
দীপন সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘অনেক কথা বলার আছে সিনেমাটি নিয়ে। কিন্তু বেশি কথা বলতে চাই না। এখন ট্রেইলার দেখেন, সিনেমাটি মুক্তি পেলে, সিনেমাটি দেখেন। তাহলেই আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা কী করতে চেয়েছি।’
রিয়াজ বলেন, ‘আমার সিনেমার ক্যারিয়ারে ট্রেইলার প্রকাশের জন্য এত বড় অনুষ্ঠান হতে দেখিনি। অপারেশন সুন্দরবন সিনেমাটি আমিও দেখিনি। আশা করি দর্শকদের সঙ্গেই দেখব।’
নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘সিনেমাটি জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে। এটা অন্তরের অনেক কাছের একটি কাজ। আমাদের প্রচারের পাশাপাশি দর্শক আপনাদের সমর্থন অনেক জরুরি। আশা করি আপনার অপারেশন সুন্দরবনের কাছে থাকবেন।’
দর্শকদের উদ্দেশে সিয়াম বলেন, ‘আপনাদের জন্য আমরা কাজ করি। অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারাটা যেকোনো শিল্পীর জন্য আনন্দের। র্যাব ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। কারণ দুর্গম জায়গায় র্যাব যে সাপোর্ট দিয়েছে, তা অন্য কেউ হলে সম্ভব হতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সমর্থনেই বাংলা সিনেমার একটা নতুন জোয়ার শুরু হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা অপারেশন সুন্দরবন নিয়ে আসছি। সিনেমা দেখবেন, আলোচনা করবেন, সমালোচনা করবেন কিন্তু সঙ্গে থাকবেন।’
র্যাব ফোর্সেসের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘এ সিনেমা থেকে যে আয় সেটি আমরা ব্যয় করব জলদস্যুদের পুনর্বাসনের কাজে। তাদের কাজের মূল স্রোতে নিতে এরই মধ্যে কিছু কাজ করা হয়েছে। আরও কাজ করবে র্যাব।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এমন একটি অনবদ্য সিনেমা নির্মাণের জন্য এর পরিচালক ও কলাকুশলীদের অনেক ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি, সিনেমাটি মুক্তি পেলে সারা দেশের মানুষ এটা উপভোগ করবেন। আমি সবাইকে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখছি সিনেমাটি দেখার জন্য।’
জলদস্যু মুক্ত করার অভিযানে র্যাব সদস্য পি.সি. কাঞ্চন আলীসহ ৩০ জন অকুতোভয় বীর শহীদদের প্রতি সিনেমাটি উৎসর্গ করা হয়েছে।