আন্তর্জাতিক ডেস্ক>>
পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু নারী হিসেবে ডেপুটি পুলিশ সুপার (ডিএসপি) পদে যোগ দিয়েছেন মনীষা রোপেতা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিন্ধুর জ্যাকবাবাদের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে মনীষা। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে সিন্ধু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডিএসপি পদের জন্য মনোনীত হন।
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ওই পরীক্ষায় বসার আগে সিন্ধুর খায়েরপুরে শাহ আবদুল লতিফ ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে এম এ করেন মনীষা। তিনি জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ডক্টর অফ ফিজিক্যাল থেরাপি (ডিপিটি) ডিগ্রি নেন।
মনীষা কবে ডিএসপি পদে যোগ দিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে।
ডিএসপি হিসেবে যোগ দেয়ার বিষয়ে ওই নারী সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘অধিকাংশ মেয়ে নিজে থেকে অথবা পারিবারিক বাধ্যবাধকতার কারণে চিকিৎসক হতে চায়। এটা তাদের জন্য চরম বাস্তবতা। আমি নারীবান্ধব পেশার এই রীতি ভাঙতে চেয়েছিলাম।’
করাচির অন্যতম প্রাচীন এলাকা লিয়ারিতে প্রশিক্ষণরত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মনীষাকে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারের প্রাথমিক দিনগুলো পার করছি। সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে আমাকে।’
এ পর্যায়ে আসার জন্য সবচেয়ে বড় কৃতিত্বটা বাবাকে দিয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এ পুলিশ কর্মকর্তা। হাসিমুখে তিনি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে সব সময়ের অনুপ্রেরণা তিনি (বাবা)।’
পাকিস্তানে শিক্ষা নিতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয় মেয়েদের। ক্যারিয়ারের ইচ্ছাপূরণে বড় ধরনের সুযোগ দেখে না হিন্দু মেয়েরা। এমন বাস্তবতায় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে মনীষার নিয়োগ অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে এসেছে।